বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

অবশেষে ঘুষের দায়ে শ্যামল কান্তি জেলে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : অবশেষে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে জেলে গেলেন আলোচিত স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি। তার এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ দুপুরে আদালত এ মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় শ্যামল কান্তি আজ বিকেলে আইনজীবীর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অশোক কুমার দত্তের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোর্শেদা বেগম।

আর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে শ্যামল কান্তিকে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় গত বছরের মে মাসে। এর দুই মাস পর মামলাটি করেন ওই শিক্ষিকা।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে তাঁর কাছ থেকে আরও এক লাখ টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু তাঁকে এমপিওভুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় গত বছরের ২৭ জুলাই তিনি আদালতে মামলা করেন।

আদালত সূত্র জানায়, আদালত বন্দর-থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এ বছরের ১৭ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

শ্যামল কান্তির আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আদালত যেহেতু শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

এবারও অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামল কান্তি বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে যে ঘুষের অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি কখনো এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। যে সময় ঘুষ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তখন শীতলকালীন বন্ধ ছিল বিদ্যালয়।’

গত বছর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে শ্যামল কান্তিকে সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে ওঠ-বস করানোর ঘটনা ঘটে। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারা দেশে তোলপাড় হয়।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ