আওয়ার ইসলাম : আগামী ২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। এবার কবির জন্মবার্ষিকীর প্রতিবাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ বিরোধী সৈনিক নজরুল’।
এ প্রতিবাদ্য সামনে রেখে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
‘সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদ বিরোধী সৈনিক নজরুল’ প্রতিপাদ্যে এবার নজরুল জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রাজধানী ঢাকায়।
২৫ মে সকাল সাড়ে ৬টায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হবে।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন জাতীয় কবির পৌত্রী খিলখিল কাজী।এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ইব্রাহীম হোসেন খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়ে স্মারক বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্ব শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও নজরুল ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ৩০ মিনিটের একটি সাংস্কৃতিক পর্ব থাকবে।
এদিকে, জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার দৌলতপুর ও চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নজরুলের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
এছাড়া যেসব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে না, সেসব জেলায় স্থানীয় প্রশাসন যথাযোগ্য মর্যাদায় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে।
অন্যদিকে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নজরুল ইনস্টিটিউট স্মরণিকা ও পোস্টার বের করবে। এছাড়া কবিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচিত করে তুলতে কবির ছবি, পোস্টার ও বই প্রদর্শনীর আয়োজন করবে।
এর বাইরে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর বই প্রদর্শনী, পাঠ প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।
অপরদিকে, ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্যভাবে উদপাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতেও এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
জাতীয় কবিকে নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করে বিশেষত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে কবির বিভিন্ন ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করে শিল্পকলা একাডেমি একটি ডকুমেন্টরি তৈরি করবে।
এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রচার করবে।
জাতীয় কবির ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জাতীয় পর্যায়ের মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।
-এআরকে