আওয়ার ইসলাম: সৌদি আরব ভ্রমণ শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলে পৌঁছেছেন। দু দিনের সফরে ট্রাম্প ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
গত রবিবার প্রথম বিদেশ ভ্রমণে সৌদি আরবে আসনে তিনি। সেখানে ৪০টি মুসলিম দেশের নেতাদের সম্মেলনে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। তারপরই তিনি ইসরাইলের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে দু’দিনের সফরে ট্রাম্প উভয় পক্ষের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তবে চরম বৈরিতাপূর্ণ মনোভাবে থাকা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের শান্তি চুক্তিকে ‘চূড়ান্ত চুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। কিন্তু এটিকে বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপের কথাই তিনি জানাননি। এক্ষেত্রে এ সমস্যা সমাধানে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন নেতাদের মধ্যে সরাসরি আলোচনাকে মুখ্য হিসেবে দেখছেন ট্রাম্প। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমও আভাস দিচ্ছে, নিজের অবস্থানগত জায়গা থেকে তিনি ফিলিস্তিন আর ইসরায়েল দুই পক্ষকে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিতে পারেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন ‘আরব ইসলামিক আমেরিকান সম্মেলন’ মঞ্চ থেকে নিজের ইসলাম বিদ্বেষী ‘নেতিবাচক’ ভাবমূর্তি শোধরানোর একটা চেষ্টা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্মেলনের মঞ্চে তিনি বলেন, ‘ইসলামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও লড়াই নেই। দুটো বিশ্বাস, দুটো ধর্ম বা দুটো সভ্যতার মধ্যে লড়াই নেই। লড়াইটা ভালোর সঙ্গে খারাপের। মানুষের জীবন শেষ করে দেয় যে সব বর্বর অপরাধী, লড়াইটা তাদের সঙ্গে।’
সম্মেলন শুরুর আগে রবিবার মিশর, কাতারসহ এক ঝাঁক আরব দেশের নেতার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আটদিনের সফরসূচির অংশ হিসেবে বুধবার ২৪ মে ট্রাম্প যাবেন ইতালির রোমে। সেখানে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে তিনি বেলজিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর ২৫ মে ব্রাসেলসে ন্যাটো সামিটে যোগ দেবেন। শেষদিন শুক্রবার ২৬ মে যাবে সিসিলিতে। সেখানে জি-সেভেন সদস্য দেশগুলোর বৈঠকে অংশ নেবেন ট্রাম্প।
আরব সামিটে মুসলিম বিশ্ব সম্পর্কে যা বললো ট্রাম্প