আওয়ার ইসলাম : সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবীতে আজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ করেছে।
সকাল ১০.৩০ মিনিটে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌছে দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা জি এম মেহেরুল্লাহ, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল হক, বায়তুলমাল ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদআব্দুর রহীম সাঈদ প্রমূখ।
স্মারকলিপিতে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ইসলাম মূর্তি বিরোধী, ইসলামে মূর্তি মানলে আল্লাহকে অস্বীকার করা হয় অর্থাৎ আল্লাহর সাথে শিরক করা হয়। তাই মুসলমানরা মূর্তি মানতে পারে না। বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র। জনসংখ্যার শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, তাই এদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে এবং প্রকাশ্যে কোনো মূর্তি থাকতে পারে না।
গ্রিক মূর্তি নিয়ে আদালত যেন কলুষিত না হয় : আইনমন্ত্রী
গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণ প্রশ্নে কি এক হচ্ছে ইসলামী দলগুলো?
ভারত ও আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টসহ পৃথিবীর কোনো মুসলিম দেশে ন্যায়ের প্রতীকরুপে কোনো মূর্তি নেই। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সামনে কোনো মূর্তি রাখা যাবে না। মূর্তি সরাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর দপ্তরে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের সামনে মূর্তি সরানোর ওয়াদা দিয়েছেন। সুতরাং সুপ্রিম কোর্ট প্রঙ্গন থেকে অবিলম্বে মূর্তি অপসারণের চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। মূর্তি অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং তীব্রতর হবে।
-এআরকে