এক দিকে কাশ্মীর সীমান্তে বাড়ছে তুমুল উত্তেজনা আর অন্যদিকে মরুভূমিতে যুদ্ধের গোপন মহড়া চালাচ্ছে ভারত।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, রাজস্থানের থর মরুভূমিতে ১০ এপ্রিল যুদ্ধ-মহড়া শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছে সোমবার।
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘বর্তমানে যে লড়াইয়ের পরিবেশ রয়েছে, তার ভিত্তিতে এটা বলাই যায় যে, ওই গোপন মহড়ায় আমাদের জওয়ানরা তাদের শক্তিমত্তা দেখিয়েছে।’
‘থর সন্ধি’ নামে এ যুদ্ধ-মহড়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সেনাবাহিনীর সাউথ-ওয়েস্টার্ন কমান্ডের অধীনে চেতক কোরকে। সামরিক পরিভাষা এবং দায়িত্ব অনুসারে এ কোর ‘স্ট্রাইকিং কোর’ (আক্রমণাত্মক যুদ্ধে পারদর্শী) হিসেবে পরিচিত। ২০ হাজার সেনাকে নিয়ে এ মহড়ায় হাজির ছিলেন কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অশ্বিনী কুমার। মহড়া হয়েছে ট্যাঙ্ক, গোলন্দাজ, পদাতিক বাহিনীকে নিয়ে। ছিল আকাশ মহড়াও।
কাশ্মীর নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতের এমন পদক্ষেপকে ‘সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার’ হিসেবে দেখছে সেনাসূত্র এবং সামরিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, লড়াই বা উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, সে সময় বিপক্ষের ওপরে মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরির জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ দরকার।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলেন, ‘স্ট্রাইকিং কোরের’ ২০ হাজার সেনাকে নিয়ে সীমান্তে যে মহড়া দেয়া হল, তার একটা প্রভাব পাকিস্তানের ওপর পড়বে। ফলে সীমান্তে হানার ক্ষেত্রে কিছুটা সংযত হতে পারে তারা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্ররা সাধারণভাবে এসব কথা সরাসরি বলেন না। তবে এবারের মহড়ার পর তারাও বলছেন, মরুভূমির প্রতিকূল পরিবেশ, আবহাওয়া ও পরিস্থিতিতে জওয়ানরা কতটা লড়াকু হতে পারেন- সেটাই দেখে নেয়া হল।
-এআরকে