বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ ঘোষনা করে হাইহকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ ঘোষনা করে হাইহকোর্টের দেয়া রায় ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। সরকার পক্ষের আপিল আবেদনে চেম্বার আদারত এই রায় ঘোষনা করেন।

একইসঙ্গে নিয়মিত আপিল বেঞ্চে আবেদন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এর আগে রবিবার (১৪ মে) সকালে আদেশটি স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়।

স্থগিত চাওয়া বিষয়ে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যকারিতায় সমাজে এক ধরনের চাহিদা আছে। ভেজাল, নকল খাবার থেকে শুরু করে নানা পণ্যের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে মানুষের এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে। এখন হুট করে এটা বন্ধ হওয়ায় বিপত্তি ঘটতে পারে।’

এর আগে, ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না বলে আদেশ দেন হাইকোর্টে। বিচারপতি আশিস রঞ্জন ও বিচারপতি মইনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ৫ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আইনের ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯ ও ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পদ্ধতি থেকে শুরু করে আদালত পরিচালনার ক্ষমতা আপিল সংক্রান্ত বিধান বিষয়ে উল্লেখ আছে। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের এসব ধারা মাজদার হোসেন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এ ধারাগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হলো।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত পৃথক তিন ব্যক্তির দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত তিনটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। রিটকারী তিন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তাদের একজনের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ টাকা রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ের পর রিট আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন থেকে আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হলে সরকারকে আইন সংশোধন করতে হবে অথবা নতুন করে আইন তৈরি করতে হবে। তবে এই আইন মাজদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গে মিল রেখে হতে হবে।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ