শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে পাস ফেলের হিসাব; সতর্ক শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনূর শাহীন: কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণার পর প্রথমবারের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৫ মে সোমবার থেকে। অন্যবারের পরীক্ষার চেয়ে এবারের পরীক্ষাকে একটু আলাদাভাবে দেখছে শিক্ষার্থীরা। কারণ এবারই প্রথম সরকারিভাবে পাস ফেলকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

আল হাইআতুল উলইয়ার লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে মোট ১৯ হাজার ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী এ বছর দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। মোট ৬টি বোর্ড থেকে সারাদেশে এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

এবারের দাওরা পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার অনেকে বিষয়টি নিয়ে শঙ্কায়ও আছেন। কারণ এখন ফেল করা মানে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে নিতে হবে মাস্টার্সের সর্টিফিকেট।

এর আগে চাকরি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে সনদ দেখানোর খুব একটা প্রয়োজনীয়তা ছিল না। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকেই দাওরা পাস ধরে নেয়া হতো। কিন্তু এবারের বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে খুব ভেবে চিন্তেই এগুতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। নিতে হচ্ছে বাড়তি প্রস্তুতি ও সতর্কতা।

এবারের দাওরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা পাবে সরকার স্বীকৃত কওমি সনদ। যেই সনদের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্নধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। এমনকি এখন থেকে কওমি মাদরাসায় উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও দাওরা সনদরে প্রয়োজনীয়তা বাধ্যতামূলক হবে। দাওরার সনদ দেখাতে না পারলে কেউ উচ্চতর তাফসীর, উলুমুল হাদীস কিংবা ইফতা বিভাগে ভর্তি হতে পারবে না বলে জানা গেছে।

[সোমবার দাওরা পরীক্ষা শুরু; কোন বোর্ডে পরীক্ষার্থী কত?]

এজন্য এবারের দাওরা হাদিসের পরীক্ষার্থীরা পাস ফেলের চিন্তা মাথায় রেখেই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

এসব বিষয়ে কথা হয় জামিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া মুহাম্মদ শারাফাত শরীফের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবার সম্পূর্ণ নতুন একটি বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা হচ্ছে এবং প্রশ্নপত্রও নতুন। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। পাস ফেলের বিষয়টিও অনেকে সামনে রেখেই পড়াশোনা করছে।

জামিয়া রহমানিয়া মৌলভীবাজার মাদরাসা থেকে দাওরা পরীক্ষায় অংশ নেয়া মিজানুর রহমান বলেন, আগে সনদরে স্বীকৃতি না থাকায় এই ধরনের সমস্য হতো না বা ছাত্ররা তথ্য গোপন করার সুযোগটা নিতো। এখন আর সেটা পারবে না। এখন থেকে পরীক্ষায় পাস ফেল নিয়ে পারিবারিকভাবেও একটা আগ্রহ তৈরি হবে। যদিও কওমি মাদরাসার পড়াশুনা আগে থেকেই ভালো ছিল তবুও এখন ছাত্রদের মাঝে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বা পাবে বলে মনে করি।

জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া হিশাম বিন হাশেম বলেন, পাস ফেলের হিসাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তেমন চিন্তা কাজ করছে না। এখানকার সবার মধ্যে মুমতাজ মার্ক পাওয়ার চিন্তা কাজ করছে। তবে এবারের প্রস্তুতি ব্যাপকভাবে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাদরাসায় জেনারেল শিক্ষা বা স্বীকৃতি না থাকলে শিক্ষার্থীরা এক সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ