আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে এবং বহাল থাকবে। কেউ এটা নিয়ে চক্রান্ত করলে ঈমানদার তাওহিদী জনতা রুখে দিবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া সংগঠনের পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ এক যৌথসভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যারা বলেন রাষ্ট্রের ধর্ম থাকতে পারে না তাদের যুক্তি হলো রাষ্ট্র ধর্ম পালন করতে পারে না। তারা বলেন, রাষ্ট্র কি নামায, রোজা করতে পারে? তাহলে আমাদের প্রশ্ন রাষ্ট্র তো কথাও বলতে পারে না তাহলে রাষ্ট্রের ভাষা থাকবে কেন? রাষ্ট্র ভাষা থাকা অর্থ হলো প্রধানত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম গুলো এই ভাষায় প্রচলিত হবে তবে অন্যান্য ভাষাও ব্যবহৃত হতে পারে।
যেমন বাংলাদেশের সরকারী অফিসগুলোতে বাংলা ভাষা প্রচলিত কিন্তুইংরেজী ভাষা ব্যবহৃত হয়। আবার প্রায় সকল প্রাইভেট কোম্পানীগুলোতে ইংরেজী ভাষায় সবকিছু রেকর্ড করা হয়। এমনকি ভাষা দিবষও ২১ ফেব্রুয়ারী ইংরেজী তারিখে পালন করা হয়।
যেহেতু অধিকাংশের ব্যবহৃত ভাষা বাংলা তাই আমাদের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা। একইভাবে বাংলাদেশের ৯২% লোকের ধর্ম যেহেতু ইসলাম তাই রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হতে কোন সমস্যা নেই। যারা যুক্তি দেয় রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারে না কারন ধর্ম হলো বিশ্বাসের বিষয় তাহলেতো রাষ্ট্র ধর্ম নিরপেক্ষও হতে পারে না কারন ধর্ম নিরপেক্ষতা বা সেকুলারিজমটা ও একটা বিশ্বাস যা কিনা ব্যক্তির পক্ষেই পালন করা সম্ভব রাষ্ট্রের পক্ষে নয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আছে এবং বহাল থাকবে। কেউ এটা নিয়ে চক্রান্ত করলে ঈমানদার তাওহিদী জনতা রুখে দিবে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আদালত চত্বরে মূর্তি, রাষ্ট্র ভাষা ইসলাম এবং শিক্ষা সিলেবাস হিন্দুত্ববাদ করার ষড়যন্ত্র একই সুত্রে গাঁথা। এই সমস্ত অতি কথন বক্তব্য বন্ধ না হলে মুসলিম জনতা রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করবে।
জানা যায়, সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে “রাষ্ট্রের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না” প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে নেতৃবৃন্দ এই প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।
এসএস/