সিলেটকে দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে সায় দিয়েছেন।
শিগগিরই প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে জানা গেছে। এরপর তিন ধাপে শুরু হবে বাস্তবায়ন কাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঘরে বসেই সব নাগরিক সুবিধা পাবেন নগরবাসী। এ প্রকল্পের আওতায় পুরো সিলেট নগরী সিসি ক্যামেরার আওতায়ও চলে আসবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ মডেলের অনুপ্রেরণায় সিলেটকে ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ হন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আবদুল মোমেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান ড. মোমেন।
‘ডিজিটাল সিলেট’ গড়ার স্বপ্নের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন ড. মোমেন। প্রধানমন্ত্রী তার প্রস্তাবে সায় দেন।
প্রকল্পের আওতায় পুরো নগরীতে ৩৮৩টি অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নিশ্চিত হবে নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টিও। আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় সবকিছু মনিটরিং করা হবে বলে নাগরিক ভোগান্তিও কমে যাবে অনেকটাই।
প্রকল্পের আওতায় সিলেটে পূর্ণাঙ্গ একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ওসমানী মেডিকেল কলেজে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস নির্মাণ, শহীদ শামসুদ্দিন শিশু হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, সিলেট সদর হাসপাতাল নির্মাণ, সিলেট ডেন্টাল হাসপাতালের পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া সিলেটের বিভিন্ন সড়ক সংস্কারে ৫০০ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় আধুনিক স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে সিলেট। ডিজিটাল নগরীতে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল, ট্যাক্স পরিশোধ সবই করা যাবে অনলাইনে ঘরে বসেই। সিলেটের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে কখন কোন ডাক্তার বসেন, হাসপাতালে কতটি সিট খালি আছে, কখন কোন সেবা পাওয়া যাবে প্রভৃতি সম্পর্কেও ঘরে বসেই জানতে পারবেন নগরবাসী।
ঈশ্বরগঞ্জে মসজিদের ইমামকে কোপাল দুর্বৃত্তরা