বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ মানবাধিকার সংস্থাটি অপরাধীদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাতে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমি সন্দেহ করছি যে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিছু রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। তারা ক্ষমতায় একটি পুতুল সরকার আনতে চায়, আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিবসের আগের দিন মঙ্গলবার বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, স্বাধীন মত প্রকাশের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার পাশাপাশি সরকার বাক স্বাধীনতা খর্ব করতে খড়গহস্ত। ভিন্ন মত দমনে সব কিছুই করছে সরকার। এই বক্তব্যের জন্য অ্যামনেস্টির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ১/১১ থেকেই একটি ব্যাপার খুব পরিষ্কার যে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আর কোনো মানবাধিকার সংগঠন নয়।’ জয় বলেন, ‘সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে তারা দাবি করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করা হচ্ছে। আমাদের দেশে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। তারা উদাহরণ হিসেবে শফিক রেহমান ও মাহফুজ আনামের কথা উল্লেখ করেছে।
শফিক রেহমান একজন সাবেক মার্কিন এফবিআই এজেন্টের সঙ্গে দেখা করেন উল্লেখ করে জয় তার ফেইসবুক টাইমলাইনে আরো উল্লেখ করেন, ‘আমার সম্পর্কে তথ্যের জন্য ওই এজেন্টকে শফিক রেহমান ঘুষ দেন। সাবেক এই এজেন্ট ও তার দুই সহকর্মী এখন যুক্তরাষ্ট্রের জেলে আছেন। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ওয়েবসাইটে এই সম্পর্কে বিস্তারিত পাওয়া যায়। এমনকি যদি আমরা এই সত্যকে সরিয়ে দেই যে, তার এক সহযোগী মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে স্বীকার করেছে যে, তিনি আমাকে অপহরণ ও হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। শফিক রেহমান এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শফিক রেহমান যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন, তা হলে তিনিও এখন জেলেই থাকতেন।’
এসএস/