রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

মন্ত্রীসহ ৩০ সাংসদকে ন্যাম ফ্ল্যাট ছাড়তে নোটিশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সংসদ সদস্য ভবনে সদস্যদের জন্য বরাদ্দকৃত ফ্ল্যাট নিয়েও থাকেন না এমন এক মন্ত্রীসহ ৩০ জন সংসদ সদস্যকে ফ্ল্যাট ছেড়ে দিতে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় সংসদের সংসদ কমিটি। নোটিশের জবাবে চারজন সদস্য ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বেশিরভাগই ফ্ল্যাটে না থাকার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। এছাড়া কয়েকজন এমপি  নোটিশের জবাব এখনো দেননি।

জানা গেছে, বেশিরভাগ সংসদ সদস্যদের নোটিশের জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সংসদ কমিটি। তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য স্পিকারের মাধ্যমে তাদের ডাকার চিন্তাভাবনা করছে। দরকার হলে তারা ওইসব ফ্ল্যাট সরেজমিনে পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।

গত ১৫ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যাম ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্যরা না থাকলে বরাদ্দ বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন। এরপর বিষয়টি আলোচনায় আসে। তোড়জোড় শুরু করে সংসদ কমিটি। গত ২৩ এপ্রিল বরাদ্দ নিয়েও ফ্ল্যাটে থাকেন না এমন সদস্যদের ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

সংসদ সদস্যদের আবাসন, ন্যামফ্লাটের নিরাপত্তা, অফিস বরাদ্দসহ বিভিন্ন বিষয় তদারকি করে সংসদ কমিটি। কমিটির সভাপতি হুইপ আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়ার সংসদ সদস্য ভবনে বরাদ্দ ফ্ল্যাট নিয়ে থাকেন না এমন সংসদ সদস্যদের বাসা ছেড়ে দিতে গত বছরের ২৬ জুলাই চিঠি দেওয়া হয়। এরপর গত ২৩ এপ্রিল আবারও চিঠি দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি চিফ হুইপ আসম ফিরোজ বলেন, ‘ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েও থাকেন না এমন ৩০ জনকে আমরা চিঠি দিয়েছি। এরমধ্যে চারজন ফ্ল্যাট ছেড়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ জবাবে লিখেছেন, তারা থাকেন। কেউ লিখেছেন, পরিবার থাকে। কেউ কেউ বলেছেন, মাঝে মাঝে এসে থাকেন। তবে, অনেকে সত্য কথা গোপন করেছেন। তিনি নিজেও জানেন অন্যায় করছেন, তারপরও স্টাফদের জন্য এটা করছেন বলে আমার ধারণা।’

তিনি আরও বলেন, সবার জবাব পাওয়ার পর প্রয়োজনে স্পিকার মহোদয়ের নেতৃত্বে তাদের ডাকা হবে। দরকার পড়লে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটির সরেজমিনেও ওইসব ফ্ল্যাট পরিদর্শনে যাবে।

নিজে থাকেন না এমন একজন মন্ত্রীর নাম জানতে চাইলে চিফ হুইপ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের নাম বলেন।

আসম ফিরোজ আরও বলেন, ‘‘ফ্ল্যাট ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ। এটা তো মানা সবার জন্য ম্যান্ডেটরি। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন ‘যারা থাকেন না’। এরপর তো তাদের নিজেদেরই বোঝা উচিত থাকি কী থাকি না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর চিঠি দেওয়ার দরকার ছিলে না। তারপরও আমরা চিঠি দিয়েছি।’’

 

বৈঠকে কমিটির সদস্য বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুস শহীদ, নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, পঞ্চানন বিশ্বাস, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. আসলামুল হক এবং তালুকদার মো. ইউনুস বৈঠকে অংশ নেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ