আওয়ার ইসলাম : অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি স্থাপনের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। ওই প্রস্তাবে ইসরাইলকে ‘দখলদার শক্তি’ উল্লেখ করে পূর্ব জেরুজালেমে চালানো কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করা হয়। এর পাশাপাশি দেশটির বিরুদ্ধে জেরুজালেমের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ধ্বংসের অভিযোগও তুলেছে ইউনেস্কো।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করে সদস্য দেশ সুদান, আলজেরিয়া, মিসর, লেবানন, মরক্কো, ওমান ও কাতার। পরে ভোটাভুটিতে ২২টি দেশের সমর্থন পেয়ে প্রস্তাবটি পাস হয়। এতে জেরুজালেমে ইসরাইলের সার্বভৌম দাবি খারিজ করা হয় এবং অনৈতিক বসতি স্থাপন প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরাইলের এ উদ্যোগ তিনটি ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র শহর জেরুজালেমের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে । একই সঙ্গে গাজা উপত্যকায় অবরোধ আরোপের কঠোর নিন্দা জানানো হয়। প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ মোট সাতটি দেশ।
ইউনেস্কোর নির্বাহী পরিষদে এ প্রস্তাব পাসকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের জয়’ বলে মনে করছেন ফিলিস্তিনি নেতারা। ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালকি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে ইসরাইলের অন্যায়, দখলদারি এবং অবৈধ নীতির বিরুদ্ধে বিশ্ব ন্যায়ের পক্ষ নিয়েছে। আমরা আন্তর্জাতিক আইনের আলোকেই ইসরাইলি দখলদারিত্ব মোকাবেলা করব।’
অন্যদিকে এ প্রস্তাবকে ‘অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড’ বলে মনে করছে ইসরাইল। এ প্রস্তাব রাষ্ট্রীয় নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না বলেও জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে সদস্যপদ প্রদান করে ইউনেস্কো। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের এ সংস্থাটিকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
-এআরকে