আওয়ার ইসলাম : রাজশাহী মহানগর পুলিশের নিহত সহকারী কমিশনার (এসি) সাব্বির আহমেদ সরফরাজের আত্মহত্যার কোনো কারণ দেখছেন না তার বাবা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি ওবায়দুল্লাহ হক ও মা ফাতেমা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা।
অফিসার্স মেস থেকে লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মেস থেকে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ আগে একটি প্রাইভেটকারে চড়ে সরফরাজের বাবা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি ওবায়দুল্লাহ হক ও মা ফাতেমা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা মেস থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল্লাহ হক বলেন, ‘সরফরাজের আত্মহত্যার কোনো কারণ নেই।’
তাকে খুন করা হয়েছে কী না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা বলতে পারবো না। ময়নাতদন্তের পরই বিষয়টি বলা যাবে।’
নেতা-কর্মীদের হাওরের দুর্গত মানুষের জন্য কাজ করতে বললেন চরমোনাই পীর
এদিকে লাশ নিয়ে যাওয়ার পর আরএমপির কমিশনার শফিকুল ইসলামও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, এসি সরফরাজ মাঝে মাঝে এই মেসে এসে বিশ্রাম নিতেন। শুক্রবার রাতে তিনি অভিযান শেষ করে তিনটার দিকে মেসে যান। এরপর জানালার গ্রীলের সঙ্গে গলায় রশিয়ে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।’
পুলিশের ওই অফিসার্স মেসে গণমাধ্যমকর্মীদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। ফলে কেউ তার লাশ দেখতে পাননি। তবে মেসের ভেতরে ঢুকেছিলেন নিকটাত্বীয়দের কেউ কেউ। তাদের মধ্যে থেকে একটি সূত্র দাবি করেছে, এসি সরফরাজের লাশ জানালার গ্রীলের সঙ্গে ফাঁস দেয়া থাকলেও তার দেহের প্রায় অংশ ছিল সোফায়। লাশের বুকের কাছে আঘাত ছিল বলেও দাবি করেছে সূত্রটি। এ কারণে মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরফরাজের লাশ পাওয়া গেলেও পরিবারের অনুরোধে তারা না আসা পর্যন্ত লাশ নামানো হয়নি। বিকেলে বিমানে পরিবারের স্বজনরা ঢাকা থেকে রাজশাহী আসেন। এরপর তারা অফিসার্স মেসে গেলে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে সরফরাজের লাশ নামানো হয়।
অফিসার্স মেসের ভেতরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। পরে সন্ধ্যায় লাশ বের করে রামেকের হিমঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিফের উপস্থিতিতে পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে বলে জানিয়েছেন আরএমপির মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম।
-এআরকে