একজন নারী কিভাবে নিজেকে সজ্জিত করবে তা কেবল ওই নারীরই ব্যপার। আর এ ব্যপারে হস্তক্ষেপ করা মোটেও উচিৎ নয় বলে মনে করেন অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভেন ডার ব্যালেন।
বার্তা সংস্থা ইকনার খবরে বলা হয়, তিনি মুসলিম নারীদের হিজাব পড়াকে একান্তই নিজস্ব বলেন। এও বলেন, এখানে নাক গলাবার অধিকার কারোরই নেই। শুধু তাই নয়, তিনি পৃথিবীর সব নারীকেই বছরে অন্তত একদিন হিজাব পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, এর মধ্য দিয়ে আসলে মুসলিম নারীদের প্রতি সহমর্মীতা ও একাত্মতা জানানো হবে।
গত ডিসেম্বরের নির্বাচনে অস্ট্রিয়ান নাগরিকেরা বামপন্থী আলেক্সান্ডার ভেন ডার বেলেন’কে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে। দেশটিতে ডানপন্থী ফ্রিডমপার্টির উত্থান মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে গত জানুয়ারিতে মুসলিম নারীদের সারা মুখ ঢেকে রাখে এমন হিজাব ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তবে, অস্ট্রিয়া সহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মুসলিমদের প্রতি যে ভীতি তৈরী হয়েছে তা আসলে অবান্তর মনে করেন আলেক্সান্ডার। মূলত একাত্মতা জানানোর মধ্য দিয়েই এই ভীতি দূর করা সম্ভব।
নিজ দেশের ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তব্যে একটি প্রশ্নের জবাবে আলেক্সান্ডার বলেন, ‘মুসলিম নারীদের সহমর্মীতা জানাতে সব নারীকেই বছরে একদিন হিজাব পড়া উচিৎ।’ ছাত্রীরা প্রথমদিকে এই ব্যপারটি নিয়ে তার সঙ্গে যুক্তিতর্ক দেখালেও পরবর্তীতে তাদের অনেকেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সহমত পোষণ করে।
এদিকে, রাজধানী ভিয়েনায় ইউরোপিয় ইউনিয়নের হাউসে বক্তব্য দেওয়ার সময় আলেক্সান্ডার বলেন, ‘এটা নারীদের অধিকার। নিজেকে কেমন করে তারা সাজাবে এটা একান্তই তাদের ব্যপার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এমন দিন হয়তো আসবে যে, আমরা সব নারীকেই হিজাব পড়তে বলবো।’
ফিলিপাইনে হিজাব দিবসের বিল পাস; দূর হবে ভ্রান্তি
হিজাব পরে বক্সিংয়ে নামবে আমেরিকান কিশোরী
আরআর