এপ্রিলের ২ তারিখে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার ব্যারাকে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন পুলিশের কনস্টেবল হালিমা বেগম।
সম্প্রতি বাবা হেলাল উদ্দিন আকন্দ সাংবাদিকদের কাছে হালিমার সুইসাইড নোট প্রকাশ করেছেন। সেখানে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ধর্ষণকেই উল্লেখ করেছেন হালিমা। খবর বিসিসি বাংলা
হেলাল উদ্দিন আকন্দ বলেছেন, ওর মৃত্যুর পর পাঁচ দিনের মাথায় আমরা যখন ওর মালপত্র আনতে যাই, তখন সেখানে লাগেজের মধ্যে ঐ ডায়েরি ও দুই কপি কাগজ পেয়েছি। হালিমা বেগম ডায়েরিতে লিখেছেন তাকে তাঁর এক সহকর্মী, একই থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টর ধর্ষণ করেছেন।
তিনি বলন, কিভাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, সেটিও সে লিখেছে। তাকে বলা হয়েছিলো ইয়াবা বিক্রি করে এরকম এক মেয়ে আসামি ধরার জন্য মহিলা পুলিশ লাগবে। তাই বলে আমার মেয়েকে নিয়ে যায় মিজান। তারপর এই ঘটনা।
পুলিশের কর্মকর্তারা ঐ সাব-ইন্সপেক্টরকে মোহাম্মদ মিজানুল ইসলাম নামে চিহ্নিত করেছেন।
হালিমা বেগম তাঁর ডায়েরিতে আরো লিখেছেন তিনি যখন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ নিয়ে যান, সেটি তিনি গ্রহণ করেননি।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার আহমেদ জানিয়েছেন, আমার কাছে সে ধর্ষণের অভিযোগ করেনি। উল্টো মিজান আমার কাছে অভিযোগ করেছে যে হালিমা তাকে ব্ল্যাকমেইল করছিলো।
হালিমা বেগমের অভিযোগ তিনি কেন গ্রহণ করেননি, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একথা পুরো অসত্য। আমার কাছে সে কোন অভিযোগ করেনি।
এ ঘটনায় হালিমার বাবা বাদী হয়ে ঐ সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
এসআই মিজানুল বর্তমানে কারাগারে আছেন বলে জানিয়েছেন দেলোয়ার আহমেদ।
গত বছর শেষের দিকে কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ নামে একটি সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পুলিশ বিভাগে কর্মরত নারী সদস্যদের মধ্যে ১০ ভাগের বেশি সদস্য যৌন হয়রানির শিকার হন।
ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ভাসুর খুন