নিজেদের পানির চাহিদা পূরণের পর তিস্তা নদীর পানি অবশিষ্ট থাকলে তা বাংলাদেশকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তিনি বলেন, ‘তিস্তায় এমনিতেই পানি নেই। তাই আমাদের রাজ্যের স্বার্থ পূরণ হয়ে পানি বাঁচলে সেই পানি নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে দেয়া হবে। ’ এ সময় তিস্তার বদলে বাংলাদেশকে তোর্সা ও মানসাই নদীর পানি নিতে আলোচনা করার আহ্বান জানান মমতা।
সোমবার বিকালে রাজ্যের কোচবিহার জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর মমতা এই আহ্বান জানান।
গত ৭ এপ্রিল তিন দিনের সফরে ভারত যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তা চুক্তি হবে বাংলাদেশের মানুষের এক প্রত্যাশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিস্তার ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি।
সফরের দ্বিতীয় দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দেশের সরকারের চলতি মেয়াদেই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হবে বলে শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করে। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তিস্তা নিয়ে জটিলতা কাটাতে বিকল্প প্রস্তাব দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বৈঠকে শেখ হাসিনাকে তোর্সাসহ ও আরও দুটি নদীর পানি ভাগ ভাগ ঠিক করে কমিটি গঠনের কথা জানান। বৈঠকে তিস্তার পানি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যেন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর প্রস্তাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
গতকাল প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘আমরা সবাইকে ভালোবাসি। আমরা বাংলাদেশকেও ভালোবাসি। বাংলাদেশকে তো আমরা এর আগে ফারাক্কার পানি দিয়েছি। এবার পানি দেবো না বলিনি। বলেছি, তিস্তার বদলে অন্য নদীগুলো নিয়ে আলোচনা হোক। আগে তো আমার বাংলার মানুষের কথা ভাবতে হবে। আমার এখানকার মানুষ পানি পেয়ে যদি বাকি থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে পানি দিতে আমাদের আপত্তি থাকবে না। সবার আগে আমাদের রাজ্যের কথা, আমাদের রাজ্যের মানুষের কথা মাথায় রাখতে হবে। ’
এ সময় তিস্তার বদলে তোর্সা ও মানসাই নদীর পানি নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান মমতা।
কাজী নজরুল ভালো হিন্দু, দাবি আরএসএসের
ফিলিপাইনে হিজাব দিবসের বিল পাস; দূর হবে ভ্রান্তি