বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে সাড়ে তিন বছর পুরনো ভবন উদ্বোধন করলেন মৎসমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জনতার বাধা, প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে, পুলিশের বিশেষ পাহারায় রোববার ব্রাক্ষ্ণণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় প্রাণিসম্পাদ উন্নয়ন কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।

সূত্র জানিয়েছে, প্রাণিসম্পাদ উন্নয়ন কেন্দ্রের ভবনটি গত তিন বছর আগেই নির্মাণ শেষ হয়। তিন বছরধরেই চলছে কার্যক্রম। হঠাৎ করে ব্যয়বহুল এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কেন আয়োজন করা হলো তা কেউ জানেন না। পুলিশ, র‌্যাব, বিজেবিসহ আইনসৃঙ্খলাবাহিনীর সরব উপস্থিতিতে এলাকায় এক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ব্রাক্ষ্ণণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক সাহেব একটি তিন বছর আগের পুরোনো ভবন উদ্বোধন করতে আসবেন। আসুক বাঁধা নেই! তাই বলে কী এলাকার সব নেতাকর্মীকে তিনি প্রতিপক্ষ বানাবেন? আওয়ামীলীগের সব নেতাকর্মীকে উপেক্ষা করা কি তার জন্য উচিত?

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম এমএসসি তার আপন হয়ে গেল; আর সব নেতাকর্মীরা তার শত্রু তা না হলে দলের একজন বিদ্রোহীপ্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে কেন তিনি জনতাকে হাসাচ্ছেন?

সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার আরও বলেন, সব কিছুরই তো একটা নিয়মতান্ত্রিকতা আছে? ছায়েদুল হক সাহেব বিজয় নগর আসবেন ভালো কথা-তাই বলে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ অংগসংগঠনের কোন নেতাকর্মী জানবেন না সেটা কীভাবে হয়? দলীয় সৃঙ্খলা উপেক্ষা করা, দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিপক্ষ বানানো তার মতো সিনিয়র একজন নেতার জন্য মোটেও সমীচিন নয়। দূর্ভাগ্যজনক ব্যাপর হলো, সদর ও বিজয়নগরের এমপি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এবং জেলার সভাপতি মোকতাদির চৌধুরীকেও তিনি জানান নি। আমন্ত্রণও দেননি। বিষয়টি চরম হাস্যকর এবং অপমানজনক। এই অপমানের কারণেই স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। তার একগুয়েমির কাছে-জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা, ইউনিয়নসহ সব নেতারা অসহায় হয়ে পড়েছে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

বিজয়নগর উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তানভির ভুইয়া ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, এড. জহিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে মৎসমন্ত্রী অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন।

এডভোকেট তানভির ভুইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মৎসমন্ত্রী দল ও সরকারের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করার জন্য এসব কাজ করছেন। তিনি তো আওয়ামীলীগ-দল দিয়েই এমপি মন্ত্রী? তাহলে বিজয়নগরের একজন আওমীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কেন জানবেন না বা আমন্ত্রণ পাবেন না? তিন বছর আগের একটা নিমার্ণ করা ভবন কেন আজ উদ্বোধন করা হবে?

তিনি আরও বলেন, তবুও গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি, আপনি দলের ঐক্যসৃঙ্খলার স্বার্থে এলাকার জনমানুষের নেতা, স্থানীয় এমপি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে আসুন। আপনার জন্য ৫০০টি গেইট করবো! তিনি কোন কথাই রাখলেন না। দলের নেতাকর্মীদের বায়ে ঠেলে; উপজেলায় আসবেন আর বিজয়নগরের নেতাকর্মীরা বসে থাকবে তা কি করে হয়?

এডভোকেট তানভির ভূঁইয়া আরও বলেন, একজন সিনিয়র নেতার একগুঁয়েমি আমরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বজলুর রশীদ জানান, বিজয়নগরের সেই ভবনে দু বছরের আগ থেকেই কার্যক্রম চলছে।

এআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ