গণভবনের কওমি মাদরাসা স্বীকৃতির বৈঠক চলছে। মাওলানা মাহফুজুল হকের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে ৩০০ আলেম উপস্থিত রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, কওমি মাদরাসা কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রের সূতিকাগার। দারুল উলুম দেওবন্দ হলো তার প্রাণকেন্দ্র। আমি সরকারের কাছে জানাই যেন তারা কোনো হস্তক্ষেপ না করে স্বীকৃতি দেন।
তিনি বলেন, সরকার অষ্ট মূলনীতি ঠিক করেছে কওমি সনদের স্বীকৃতি দিচ্ছেন সেজন্য ধন্যবাদ। সাথে সাথে আবেদন জানাই সুপ্রিমকোর্ট থেকে মূর্তি সবারো হোক এবং মঙ্গল শোভা যাত্রা বন্ধ করা হোক। স্বীকৃতির জন্য নিবন্ধন জরুরি। কিন্তু মক্তব ও হেফজখানা নিবন্ধনের বাইরে রাখা হোক, কারণ কুরআন শিক্ষা সবার জন্য ফরজ। সবার জন্য এটি উন্মুক্ত রাখা হোক।
শুধু ঘোষণা নয়, সংসদে কওমি স্বীকৃতি আইন পাশ করুন: আল্লামা আবদুল কুদ্দুস
এর আগে গণভবনের কওমি স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, কওমি মাদরাসার দাওরার সনদকে এমএর মান দেয়া। অন্যান্য ক্লাসগুলোর ব্যাপারে আমরা সিদদ্ধান্ত নেইনি। পরে এই সিদ্ধান্ত বেন ইনশাল্লাহ।
আমরা মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আল্লামা আহমদ শফী ও ওলামায়ে কেরামের শুকরিয়া আদায় করছি।
মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমি দুটি দাবি জানাচ্ছি। এখানে যে ঘোষণা হবে তা আইনে পরিণত করার জন্য মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে আলোচনা করে এবং জাতীয় সংসদের বিষয়টি উত্থাপন করে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে এটা মুসলমানদের মাথার ব্যাথা।িএটা সরানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। মঙ্গলশোভা যাত্রা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সারাদেশে ্আলেমদের নামে বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা হচ্ছে তা যেন বাতিল করা হয় সেজন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।