শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

আশার ধোঁয়াশায় তিস্তা : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Tista_kalerkantho_picআওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পর বিশ্লেষক ও বিশিষ্টজনরা বলেছেন, এসব চুক্তি ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন এগিয়ে যাবে। অতীতের ধারাবাহিকতায় ৫০০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের মানুষের বড় আশার তিস্তা চুক্তি ‘জিইয়ে’ রাখায় ভারতবিরোধীরা বাংলাদেশে সমালোচনার সুযোগ নেবে। এ নিয়ে দীর্ঘসূত্রতায় মানুষের উৎসাহ নষ্ট হবে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, চীনবিরোধী বলয় তৈরির এবং প্রতিরক্ষা খাতে বাজার সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে ভারত সামরিক খাতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে গতকাল শনিবার বৈঠক হয়েছে। ওই শীর্ষ বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে সই হয়েছে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক। এসবের মধ্যে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চারটি চুক্তিপত্র বিনিময় হয়েছে। শীর্ষ বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তাঁর ও শেখ হাসিনার সরকার তিস্তা চুক্তির বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারবে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তিস্তা চুক্তির বিষয়টি ভারত দ্রুত সমাধান করবে।

দুই দেশের দুই নেতা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই তিস্তা চুক্তি নিয়ে জটিলতা কাটবে বলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যে আশ্বাস দিয়েছেন, তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। প্রতিরক্ষা চুক্তি এড়িয়ে সামরিক খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার ঘটনাকেও ভারতের মতো বিশাল রাষ্ট্রের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের শক্ত অবস্থান নেওয়ার কূটনৈতিক সক্ষমতা হিসেবে দেখছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ী নেতা ও বিশ্লেষকরা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের ২৫ পণ্য ছাড়া সব পণ্যে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, ভারতের আরোপিত শুল্ক-অশুল্ক বাধাগুলো দূর করার মাধ্যমে ওই সুবিধা পুরো ব্যবহার করতে পারলে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বড় বাজার হতে পারে দেশটি। সেই সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় হতাশা রয়েছে রপ্তানিকারকদের মধ্যে। তবে খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে আঞ্চলিক সংযোগ বাড়বে এবং তাতে ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য বাধাও দূর হবে বলে আশা করেন তাঁরা। দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের সফর বিনিময়ের মধ্য দিয়েই বিদ্যমান সব সমস্যার সমাধান আশা করছেন বিশ্লেষকরা।

তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে ভারত। প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অংশ হিসেবে ভারত দেবে সামরিক কেনাকাটায় ৫০ কোটি ডলার ঋণ। ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের বিষয়েও চুক্তি হয়েছে। সমঝোতা হয়েছে সীমান্ত হাট চালু করার বিষয়ে এবং বাংলাদেশের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সহযোগিতার জন্যও। কলকাতা-খুলনা-ঢাকা বাস চলাচল এবং খুলনা-কলকাতা ট্রেন চলাচল, রাধিকারপুর-বিরল রেললাইন উদ্বোধন হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দেবে ভারত। তিস্তা চুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে ভারতের সমর্থন পাওয়ার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

[caption id="attachment_31045" align="alignleft" width="271"]ইমতিয়াজ ড.ইমতিয়াজ আহমেদ[/caption]

চুক্তি গতানুগতিক, খুব খুশি হওয়ার মতো কিছু হয়নি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি হলো না। আশা জিইয়ে রাখা হলো। এতে করে বাংলাদেশে যারা ভারতবিরোধিতা করে তারা সমালোচনা করার একটা সুযোগ পাবে। ভারত সম্পর্কে তাদের আগের ধারণার পরিবর্তন হবে না। তবে যেসব চুক্তি হয়েছে তা গতানুগতিক। তাতে নতুনত্ব নেই। সামরিক কেনাকাটায় বাংলাদেশকে ভারতের ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়টি ভিন্ন ধরনের। উভয় দেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন হয়, ধারণা পাল্টে যায়—এমন কিছু এবার হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবী অনেকদূর এগিয়ে গেছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন হতে হবে জনগণের উন্নয়নকে কেন্দ্র করে। তাহলে সেটা বেশি আলোচনায় থাকে। ভারতীয় রাষ্ট্রীয় ঋণ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে বাংলাদেশকে। এটা দেওয়া হচ্ছে তৃতীয়বারের মতো। এখানে আগের ঋণের টাকা বাংলাদেশ খরচ করতে পেরেছে কি না সেটা দেখা দরকার ছিল। এখানে জনগণের উন্নয়ন জড়িত সত্য, তবে তা আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় হয়েছে। একেবারে নতুন কিছু হয়নি, যাতে মানুষ সাংঘাতিক খুশি হতে পারে। আসলে দিল্লির নীতিনির্ধারকরা আগের মানসিকতায় আছেন; দীর্ঘসূত্রতায়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বৃত্ত থেকে তাঁরা বের হতে পারেন না। দীর্ঘসূত্রতায় মানুষের উৎসাহ নষ্ট হয়ে যায়। ’

[caption id="" align="alignleft" width="240"] এম সাখাওয়াত হোসেন[/caption]

ভারত প্রতিরক্ষা কৌশলে এগিয়ে থাকতে চাইছে : নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে উভয় দেশের সম্পর্ক গভীর হয়েছিল। প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য যে ঘোষণা এসেছে তাতে করে ভারত প্রতিরক্ষা কৌশলে এগিয়ে থাকতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে। ভারত কী কী অস্ত্র বা সরঞ্জাম বিক্রি করার সক্ষমতা অর্জন করেছে এ ক্ষেত্রে তা বড় বিবেচ্য নয়। কোনো কোনো দেশে তারা রাইফেল বিক্রি করছে। আফ্রিকার দেশগুলোয়, ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে তারা বাজার তৈরি করছে। তারা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ঋণ দিয়ে বাজার ধরার চেষ্টা করছে বাংলাদেশে। চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি ভারতের কৌশল। ভারত চীনা বলয়ের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা বলয় তৈরি করতে চাইছে। যে কারণে এ সামরিক সহযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের বাংলাদেশকে প্রয়োজন বেশি। ’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ভারতের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ অর্থনীতি, সামরিক বাহিনীর আন্তর্জাতিক মান। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানও ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত আসলে কৌশলগত দিক দিয়ে এবং বাজার তৈরির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সামরিক সহযোগিতা চাইছে। তবে আমাদের দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় আশা—তিস্তা চুক্তি। সেটা হয়নি। বলা হচ্ছে, হাসিনা-মোদির হাতেই হবে। সেটা কি আরো সাত-আট বছর লাগবে? এখানে মানুষের হতাশা আছে। ’

[caption id="" align="alignleft" width="169"]Image result for ড. সামছুল হক ড. সামছুল হক[/caption]

মানুষ সরাসরি উপকার পাবে যোগাযোগ খাতে সহযোগিতায় : বুয়েটের অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, যোগাযোগ খাতে ভারতের ঋণের টাকায় বহু প্রকল্প আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। গত সাত বছরের উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কলকাতা ও খুলনার মধ্যে পরিবহনের এ সেবা চালু হয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে তার মধ্যে উভয় দেশের মানুষ সরাসরি উপকার পাবে যোগাযোগ খাতে সহযোগিতা এবং পরিবহনের এ সেবার মধ্য দিয়ে।

সামরিক সরঞ্জামের উৎস একমুখী হওয়া মোটেও ঠিক নয় : নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমর সরঞ্জামাদির প্রায় ৭০-৮০ শতাংশই এখন আসে চীন থেকে। কৌশলগত কারণে সামরিক সরঞ্জামাদির সরবরাহ উৎস কখনোই একটা দেশের ওপর নির্ভরশীল বা একমুখী হওয়া মোটেও ঠিক নয়। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের যে রকম কমন নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেটি অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নেই। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া ভারত বা বাংলাদেশের পক্ষে এককভাবে তা কখনো সম্ভব নয়। ’ তিনি আরো বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন, ভারতের সরঞ্জামাদির মান চীনের সমকক্ষ নয়। তাহলে তো এ কথাও ঠিক, ইউরোপ-আমেরিকার তুলনায় চীনের সরঞ্জামের মান এখনো অনেক নিম্নমানের। মনে রাখা দরকার, সামরিক সরঞ্জামাদি আমরা ইচ্ছা করলেই যেকোনো দেশ থেকে কিনতে পারব না। আর সব দেশ আমাদের কাছে তা বিক্রিও করবে না। ’

শুল্ক-অশুল্ক বাধাগুলো দূর হওয়ার আশা : বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী কালের কণ্ঠকে বলেন, ভারত এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত সব দিক থেকেই এগিয়ে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন যে সুসম্পর্ক রয়েছে, সেটিও অনেক বড় বিষয়। দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় ভারত বাংলাদেশের তামাক ও মদজাতীয় ২৫টি পণ্য বাদে সব পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। তার পর থেকে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশ সন্তোষজনক ছিল। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের নানা শুল্ক ও অশুল্ক বাধার কারণে সেই প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো দূর হবে বলে আমরা আশায় রয়েছি। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে এ বিষয়ে কোনো কিছুর উল্লেখ না থাকায় আমরা কিছুটা হতাশ হয়েছি। তবে সব কিছুই চুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় না। ভারত বাংলাদেশের নেতাকে যে সম্মান দিয়েছে, তাতে আমরা আশাবাদী দুই দেশের সরকার ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান হবে। আর ভারতে প্রকৃত অর্থে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে দেশটি বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বড় বাজারে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ভারতে ৪৫ কোটি মধ্যবিত্ত রয়েছে, সেখানে বিশ্বের নামকরা সব ব্র্যান্ডই শাখা খুলছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর সফরে কানেক্টিভিটির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দুই দেশের মানুষের যাতায়াত বাড়বে। এতে ব্যবসাও সম্প্রসারিত হবে। ’

সুত্র: কালেরকন্ঠ অনলাইন

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ