সিরিয়ায় আরো সামরিক হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে আমেরিকা। শুক্রবার সিরিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নয় বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর পর এ হুমকি দিল ওয়াশিংটন। জাতিসংঘের অনুমোদন ছাড়াই ওই আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। খবর পার্সটুডের
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এ হুমকি দেন। তিনি শুক্রবার সকালের হামলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘এ ধরনের আরো হামলার প্রস্তুতি আমাদের আছে, তবে আশা করছি তার আর প্রয়োজন হবে না।’
সিরিয়ায় মার্কিন হামলার নিন্দা জানানোর জন্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মঙ্গলবার এক রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়। সিরিয়ার বিমান বাহিনী ওই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে শুক্রবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। কোনো ধরনের প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই রাসায়নিক হামলার জন্য দামেস্ককে দায়ী করছে ওয়াশিংটন।
নিকি হ্যালি নিরাপত্তা পরিষদে দম্ভভরে আরো ঘোষণা করেন, ‘(প্রেসিডেন্ট) আসাদকে আর রাসায়নিক হামলা চালানোর অনুমতি দেয়া হবে না।’ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আসাদ ভেবেছিলেন রাশিয়ার সমর্থন আছে বলে তিনি রাসায়নিক হামলা চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু সেটি যে আর হবে না তা শুক্রবারের হামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে রাশিয়া বলেছে, সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার পাশাপাশি স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের এই ঘৃণ্য সমর্থন নিয়ে সিরিয়ায় তৎপর উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো আবার মাথাচারা দিয়ে উঠবে বলে জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ উপ রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
আরআর
সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা কি আরেকটি যুদ্ধের দামামা বাজালো?
সিরিয়ায় বিষাক্ত গ্যাস হামলা; শিশুসহ নিহত ৫৮