আবু নাঈম ফয়জুল্লাহ : দেশের খ্যাতিমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়ার ২০১৬-১৭শিক্ষাবর্ষের বর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ এপ্রিল। খতমে বুখারী ও দুআ মাহফিলের মধ্য দিয়ে এ বছরের নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়। বুখারী শরীফের শেষ সবকের দরস দেন জামিয়া রাহমানিয়াসহ দেশের একাধিক প্রতিষ্ঠানের শাইখুল হাদিস ও বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী।
খতমে বুখারী উপলক্ষে জামিয়ায় সকাল থেকেই ছিল সাজ সাজ রব। জোহরের পর থেকেই বিদায়ী ছাত্রদের আত্মীয় স্বজনরা দূর দূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেন। পুরো মাদরাসায় দুপুর থেকেই ভিন্ন আমেজ লক্ষ করা যায়। দারুল হাদিসের ক্লাস রুমে মুহুর্মুহু হামদ নাতের সুর বাজতে থাকে। বিকাল সাড়ে চারটা থেকেই জামিয়ার প্রধান ফটক বাবুল আজিজে ছাত্ররা সারিবদ্ধভাবে বহিরাগত মেহমানদেরকে অভ্যর্থনা জানায়।
স্বীকৃতির চলমান প্রক্রিয়ায় : তিন শিক্ষাবিদ আলেমের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
সন্ধ্যার পর শুরু হয় মূল পর্ব। মুহূর্তেই কানায় কানায় ভরে ওঠে পুরো মিলনায়তন। কুরআন তেলাওয়াত ও জামিয়ার তারানার সুরে মুখর হয় পুরো মিলনায়তন। সাদা জুব্বা ও পাগড়ি পরা তাকমিল জামাতের ৭৫ জন বিদায়ী ছাত্র বুখারী হাতে হলে প্রবেশের সাথে সাথে অন্যরকম আমেজ জাগে উপস্থিত শ্রোতাদের মাঝে।
শুরুতেই মুফতি মাহফুজুল হক সাহেব উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এরপর শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী বুখারী শরীফের শেষ দরস প্রদান করেন এবং দুআ পরিচালনা করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার প্রিন্সিপাল ও বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক সাহেব, মুফতি হিফজুর রহমান সাহেব, মুফতি জিয়াউর রহমান সাহেবসহ আরো অনেকেই।
মুহাম্মদপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন মাদরাসার মুহতামিম ও শিক্ষকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
রাত সাড়ে আটটায় আবেগঘন আনন্দ ও প্রভুর দরবারে অশ্রুসজল মুনাজাতের মধ্য দিয়ে বরকতময় এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
মুসলিম জাতিকে বিজয়ী বলায় ইমামকে ৪০০০ ডলার জরিমানা
নবজাগরণের স্বপ্ন দেখছে স্পেনের মুসলমান