রাজীব হত্যার বিচারের রায়ের ইমামদের বয়ানের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
আজ এক বিবৃতিতে মহাসচিব বলেছেন, ইমাম-খতীবদের বয়ানের বিষয়ে বিচারিক আদালতের নিয়ন্ত্রণের চিন্তা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ইতিবাচক হবে না। ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা নিলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থাকবে না।
মহাসচিব বলেন, ইমাম ও খতীবগণ দেশের আইন লঙ্ঘণ করে বক্তব্য দেন না। বরং ঘরে-বাইরে জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে মুসলিদের উদ্ধুদ্ধ করে বয়ান করে থাকেন।
তিনি বলেন, চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের ওলামায়ে কেরাম, পীর-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতীবগণ সবসময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে জাতিকে সোচ্চার করে আসছেন। ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও খতীবগণ ঐক্লান্তিকভাবে কাজ করে আসছেন। জঙ্গিবাদের সাথে কোন ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দের সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়ে কুরআন-হাদীস ভিত্তিক বয়ান জুমার খুৎবায় দিয়ে চলেছেন। চলমান পরিস্থিতি ও ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পর্কে খতীবগণ জুমার খুৎবায় বয়ান করে থাকেন। সুদ-ঘুষ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নারী অপহরণ-নারী ধর্ষণ ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে গণসচেতনায় মসজিদের ইমাম-খতীবগণ অত্যন্ত জোরালোভাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে থাকেন।
তিনি বলেন, ইমামদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে শিক্ষার সকলস্তরে সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী কুরআন-হাদীস ভিত্তিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করলে সরলমনা মুসলমান যুবকরা জঙ্গিবাদে ধাবিত হবে না। এ যাবৎ যত জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে তাদের সাথে মসজিদের ইমাম খতীবগণের সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি।
কৃষ্ণ ছিলেন নারী উত্যক্তকারী: ভারতের আইনজীবী