আওয়ার ইসলাম : সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে পালিত হলো ‘বিশ্ব ঘণ্টা’। ব্যতিক্রম এ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের ক্ষতিকর ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করা এবং বিদ্যুতের অপব্যবহারের ব্যাপারে সচেতন করা।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের আহবানে পরিবেশ বিষয়ক বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে সৌদি আরবের কয়েকটি শহরের নাগরিকগণ। আয়োজকগণ শহরের সাধারণ বাসিন্দা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের অনুরোধ জানান, তারা যেনো তাদের অপ্রয়োজনীয় লাইট ও আলোকসজ্জা এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখেন।
[caption id="attachment_29871" align="aligncenter" width="741"] দুই সময়ের আইফেল টাওয়ার[/caption]
জেদ্দা, মদিনাসহ সৌদি আরবের একাধিক শহর পরিবেশ বিষয়ক এ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। জেদ্দা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ‘বিশ্ব ঘণ্টা’ এর পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালানো হয়। এছাড়া সৌদি আরবের পশ্চিমাঞ্চলে ১০ হাজার সড়কলাইক এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়।
[caption id="attachment_29872" align="aligncenter" width="719"] বিশ্ব ঘণ্টায় সিডনির অপেরা হাউজ[/caption]
সাজা আল হুমইয়ানি। মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী। ‘বিশ্ব ঘণ্টা’ পালনের সময় তিনি একটি শপিং মলে ছিলেন। হঠাৎ মলের লাইটগুলো অফ হয়ে যায় শুধু কয়েকটি ছাড়া। তিনি প্রথমে নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন। কিন্তু একটু পরেই ধাতস্থ হন বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ যদি চিন্তা করে পৃথিবীটা আরও উত্তম হোক এবং আরও ভালো পরিবেশে আমরা বেঁচে থাকি, তাহলে পৃথিবী সত্যিই সুন্দর হয়ে যাবে। আমি গর্বিত যে সৌদি আরব এমন একটি ইভেন্টে যোগদান করেছে। ’
[caption id="attachment_29873" align="aligncenter" width="845"] বিশ্ব ঘণ্টায় রোমের কলোসিয়াম[/caption]
শুধু সৌদি নয় পৃথিবীর ১৭৭টি দেশের ৭ হাজার শহরে পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব ঘণ্টা’। তার মধ্যে রয়েছে, প্যারিস, মস্কো, লিসবোন, কায়রো ও লন্ডনের মতো বিখ্যাত শহর।
অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা পরিহার করা হয়, ব্রিটেনের রাজপ্রসাদে, রাশিয়ার ক্রেমলিন ভবনে, বিগবেন টাওয়ারে, দ্য টাওয়ার অব পিসা, আইফেল টাওয়ার ও মিসরের বিখ্যাত পিরামিডে।
সূত্র : আরব নিউজ
-এআরকে