আধ্যাত্মিক সংগঠন-রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশের আমীর ও ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী মুক্তিযুদ্ধে আলেমদের প্রেরণার উৎস, তওবার রাজনীতির, কোটি কোটি মুসলমানের প্রাণপ্রিয় আধ্যাত্মিক রাহবার হযরত মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর রহ. এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতীব মুফতি আমীমুল ইহসান রহ.-কে নিয়ে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছেন।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুগশ্রেষ্ঠ বুযূর্গ বিশ্ববরেণ্য আলেমেদীন হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ.-এর নাম স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণ ইসলাম ও উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে নতুন চক্রান্ত, দূরভিসন্ধি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী হাফেজ্জী হুজুর রহ.-কে মরণোত্তর সন্মাননা ক্রেস্ট দিয়েছেন। তিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের পক্ষে আপসহীন ভূমিকা পালন করে গেছেন। আশির দশকে তওবার রাজনীতির ডাক দিয়ে জাতীয় সংসদের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করে দেশের জাতীয় রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এরপরও চিহ্নিত কিছু নাস্তিক মুরতাদ কর্তৃক হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.-কে স্বাধীনতাবিরোধী বলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাঁকে নিয়ে নাস্তিক মুরতাদদের যে কোনো চক্রান্ত দেশের ইসলামপ্রিয় ঈমানদার জনতা রুখে দাঁড়াবে।
রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশ এবং ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা থেকে হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ.-এর নাম বাদ দেওয়ার দাবী জানাচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থাপনা থেকে তাঁর নাম মুছে ফেলা থেকে বিরত থাকতে এবং ইতিমধ্যেই যেসব জায়গায় তাঁর নাম মুছে ফেলা হয়েছে, সেখানে নাম পুনঃস্থাপনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। তা না হলে দেশের ঈমানদার জনতা হজরত হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুফতি আমীমুল ইহসান রহ.-এর সম্মান রক্ষায় যে কোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
আরআর