এমিরাটস এয়ারলাইন্স লিটারেচার ফেস্টিভ্যালে শেষ দিকে দেখা মিললো দুবাইয়ের এক শিশুর। স্কুলের শিক্ষার্থী সে। কিন্তু বছরে ১০০টি করে বই পড়েন।
অবসরেই এ কাজটি করে অ্যালেক্স নামের শিশুটি। আবার অনেক সময় কাটে ভিডিও গেম খেলে। ইতিমধ্যে ২০১৬ সালে সেরা বই পড়ুয়ার তকমা পেয়েছে সে। যে বইগুলো পড়ে তার প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে শেষ শব্দটি পর্যন্ত কিছুই ছাড়ে না সে।
তার প্রিয় লেখক লুসি হকিং। সাহিত্য মেলায় তার লেখা একটি বই কিনে অটোগ্রাফও নিয়েছে সে। স্লোভাকিয়ান বংশোদ্ভুত অ্যালেক্স থাকে দুবাইয়ে। নিজের ভাষায়, আমি বই পড়তে খুবই ভালোবাসি। বইগুলো খুবই মজার হয়। বাইরের অনেক চিন্তা করা যায় এসব বই পড়ে। ইতিমধ্য এই ক্ষুদে পড়ুয়া এনিদ ব্লাইটন, মার্ক টোয়াইন, জেকে রাওলিং এবং রোয়াল্ড ডালের বই পড়ে ফেলেছে। অ্যাডভেঞ্চার আর ফিকশন ঘরানার বই তার সবচেয়ে প্রিয়।
এমিরাটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সিক্সথ গ্রেডে পড়ে সে। আমি চাইলেই দুই ঘণ্টায় হ্যারি পটার মুভিতে দেখে নিতে পারি। কিন্তু যখন এটা পড়ি, তখন আরো বেশি ঘটনা জানা যায়। আরো বেশি চিত্র মাথায় চলে আসে। অনেক বশি সময় ধরে কোনো জটিল ঘটনা নিয়ে চিন্তা করা যায়, জানায় অ্যালেক্স।
তার মা নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। বলেন, কম বয়স থেকে বাচ্চাদের বই পড়ার উৎসাহ জোগাতে হয়। এ অভ্যাস পরিবার ও শিক্ষকদের কাছ থেকেই গড়ে ওঠে। এতে করে তারা বিভিন্ন সূত্র থেকে অনেক তথ্য পায়। তাদের মনে যেসব প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করে তার জবাব মেরে। এটা এক ধরনের দক্ষতা যা তারা অর্জন করে।
আসলে প্রথমে এ অভ্যাস গড়ে দেওয়া হয় স্কুল থেকে। সেখানে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক পাতা তাদের পড়ানো হতো। একবার শিশুকে কোনো মজার গল্প দিলে তা পড়তে আগ্রহী হবে। অ্যালেক্স এখন তার অধিকাংশ সময় বিভিন্ন বই পড়ে কাটায়। অ্যারেক্স ফিকশন বা নন-ফিকশন সবই পড়ে। এতে করে শিশুরা চিন্তা করতে শেখে এবং অনেক জটিল চিন্তাকে এগিয়ে নেওয়ার দক্ষতা আসে তাদের মাঝে, জানান শিশুটির মা।
সূত্র: খালিজ টাইমস