আওয়ার ইসলাম : ভারতের জনসংখ্যায় ক্রমশ কমছে হিন্দুদের সংখ্যা। বাড়ছে মুসলিমরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরন রিজিজুর সোমবার এক টুইটার বার্তায় এমন দাবি করেছেন।
ইতিমধ্যে মন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গণে এবং তা নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিরোধী দলগুলোর দাবি মন্ত্রীর এমন বক্তব্য দেশের চরমপন্থাকে উস্কে দিবে।
ভারতের চরমপন্থী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের নেতা রাকেশ সিনহা মন্ত্রীকে সমর্থন করে বলেন, ‘এই বিষয়টি যে দেশের সামনে তুলে ধরেছেন, এটা কিরেণ রিজিজুর কর্তব্য। দেশে যেভাবে সামাজিক সম্প্রীতি ও জাতীয় সংহতির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে এধরনের বিষয় তুলে ধরে ঠিকই করেছেন তিনি। আর এই বিষয়টি তাঁর মনগড়া নয়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের জনগণনা রিপোর্টে এই তথ্যই উঠে এসেছে। এটাই আজ বাস্তব এবং বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনার প্রয়োজন আছে।’
রিজিজু যে রাজ্যের বিজেপি নেতা, সেই অরুণাচল প্রদেশকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার হিন্দু রাজ্য বানাতে চাইছে বলে চাঞ্চল্যাকর অভিযোগ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেই অভিযোগের পালটা জবাব দিয়েছেন রিজিজু। দফায় দফায় ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, অরুণাচলের বাসিন্দারা পরস্পরের সঙ্গে সৌহার্দ্যের পরিবেশে বসবাস করছেন। ভারত ধর্মনিরপক্ষে দেশ। সব ধর্ম এখানে সমান মর্যাদা পায়। সব ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করেন। কেন কংগ্রেস এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছে। এই ধরনের উসকানিমূলক অভিযোগ করা উচিত নয়।
সূত্র : কলকাতা টুয়েন্টিফোর ডটকম
-এআরকে