দিদার শফিক: ইসলামে নারী-পুরুষের বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ। অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে কবিরা গোনাহ। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় অভ্যস্থ পশ্চিমা সমাজ একে দোষের কিছু মনে করে না।
তবে সম্প্রতি পাশ্চাত্য গবেষকদের এক গবেষণায় বিবাহপূর্ব যৌনাচার দোষণীয় ও নানান ক্ষতির কারণ ইসলামের এ দর্শনের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে।
ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম ডেইলি স্টারে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ইউতা (University of Utah)এর গবেষকদের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ‘বিয়ের আগে পশ্চিমা বিশ্বের নারীদের যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া এবং বিয়ের পর সংসার ভাঙার কারণ’ নিয়ে তারা গবেষণা করেন।
গবেষণায় দেখা যায়, যে নারীর কোন পুরুষের সাথে বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক থাকে তার দাম্পত্য জীবন কলহপূর্ণ ও খুবই নড়বড়ে। তার সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। বিয়ের পূর্বে অবৈধ সম্পর্কে সতীত্ব হারানো নারীর সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি পক্ষান্তরে কুমারী নারীর সংসার সুখের ও টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কুমারী নারীর বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা প্রায় শুন্যের কোঠায়।
ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যমের বরাতে কুদরতডটকম জানায়, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও বিয়েপরবর্তীকালে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে গবেষণা করা এক জরিপে দেখা যায় ১৬ থেকে ৪৪ বছর বয়েসী প্রত্যেক ব্রিটেন নারী গড়ে ৭.৭ জন পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত আর আর প্রত্যেক ব্রিটেন পুরুষ ১১.৭ জন নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত। ৩ বছর আগে নারীর এ সম্পর্কের গড় ছিল ৩.৭ । এত অল্প সময়ের ব্যবধানে ৭.৭ গড় হওয়া খুবই উদ্বেগজনক।
আলেমগণ বলেন, প্রাক ইসলামে দাসপ্রথা ছিল। তখন তাদের সাথে যৌন সম্পর্ক বৈধ ছিল। বর্তমানে এ প্রথা বিলুপ্ত। বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া নারী-পুরুষের শারীরিক মিলন ইসলামে নিষিদ্ধ। এ গর্হীত কাজে যারা লিপ্ত হয় তাদের জন্য ইসলাম কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে। পরকীয়া, প্রেম, লিভটুগেদার সুস্থ ও সুশীল সমাজের অবকাঠামোকে দুর্বল করে দেয়। আর দাম্পত্য জীবন হয়ে ওঠে যন্ত্রণাময়।
সূত্র: কুদরতডটকম
আরআর