আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির প্রতি কড়া হুশিয়ারি দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। এবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল রাজা মোহাম্মদ আফান্দি বলেছেন, জাতিসংঘ চাইলে মিয়ানমারসহ যেকোনো দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। খবর দ্য স্টার অনলাইনের।
বৃহস্পতিবার কোটা সামারাহানে সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল রাজা মোহাম্মদ আফান্দি সাংবাদিকদের কাছে এ হুশিয়ারি দেন।
এ সময় তিনি বলেন, 'সেনাবাহিনীকে একটি 'স্ট্যান্ডবাই' ফোর্স প্রস্তুত রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যাতে তাদের যেকোনো স্থানে মোতায়েন করা যায়। তবে সেটা জাতিসংঘের প্রয়োজনে হতে হবে।'
মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, 'শরণার্থী নিয়ন্ত্রণ করতে সীমান্তে প্রশিক্ষণ তৎপরতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, যেকোনো হুমকির মুখে সফলতা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সব কর্মকর্তাকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান (আর্মড ফোর্সেস চিফ) জেনারেল জুলকিফল মোহাম্মদ জিনও কড়া বার্তা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি যদি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা না যায়, তাহলে তা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএসের বিস্তার হতে পারে।
জেনারেল মোহাম্মদ জিন শিগগিরই সশস্ত্র বাহিনীর পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন। তার আগে তিনি মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপে মালয়েশিয়া ও এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে আইএসের হুমকির বিষয়ে সতর্ক করে দেন।
আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো সফর শেষে জেনারেল মোহাম্মদ জিনের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আইএসের হুমকি বাস্তব। এ বিষয়ে মালয়েশিয়া কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করছে।
তাই এ হুমকি মোকাবিলার জন্য আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মোহাম্মদ জিন।
তিনি গত সোমবার মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং-এর সঙ্গে এসব ইস্যুতে কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, রাজা মোহাম্মদ আফান্দি ২৫তম সেনাপ্রধান হিসেবে তার মেয়াদ শেষ করবেন শিগগিরই। এরপরই সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ জিনের পদে তাকে নিয়োগ দেয়ার কথা।
আরআর