শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস

অবাক ফেরিওয়ালা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

feriwalaদিহান আহমেদ: বাড়িতে জমিয়ে রাখা পুরনো খবরের কাগজ নিশ্চয়ই বিক্রি করেন। অনেক সময় পুরনো বই, ম্যাগাজিনও বিক্রি করা হয়। এবার থেকে যখন তা করবেন, একটু সাবধান। ভাবছেন, পুরনো কাগজ বা বই বিক্রি করার সময় কেন সতর্ক থাকতে হবে? তাহলে রাজস্থানের এই ঘটনা আপনাকে জানতেই হবে।

রাজস্থানের হনুমানগড় জেলার এক গৃহবধূ শান্তি ভাদু গত মঙ্গলবার দুই ব্যক্তিকে বাড়ির পুরনো খবরের কাগজ আর কিছু বই বিক্রি করেছিলেন। সুরেন্দ্র এবং শঙ্কর বর্মা নামে যে দুই ভাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরনো কাগজ, লোহা-লক্কড় কেনার ব্যবসা করেন, তাঁরা সেদিন রাতে সারাদিনের সংগৃহীত জিনিসগুলি গুছিয়ে রাখছিলেন।

সেই সময়েই তাঁদের চোখ কপালে ওঠে! কারণ? কাগজ এবং বইয়ের স্তূপের মধ্যে থেকে পাঁচশো এবং একশো টাকার কয়েকটি বান্ডিল বেরিয়ে আসে। পরে জানা যায়, সবমিলিয়ে সেখানে এক লক্ষ টাকা ছিল। ওই দুই ভাই বুঝতে পারেন, কিনে আনা কাগজ এবং বইয়ের মধ্যে থেকেই টাকাটা বেরিয়েছে। কিন্তু সারাদিন ধরে একাধিক বাড়ি থেকে কাগজ, জিনিসপত্র কেনেন তাঁরা। ওই টাকার মালিক আসলে কে, তা বুঝবেন কীভাবে?

সূত্রের খোঁজে সারাদিন কেনা জিনিসগুলি ভাল করে খুঁটিয়ে দেখেন তাঁরা। একটি বইয়ে শালু পুনিয়া বলে একজনের নাম লেখা ছিল। সেই নামের সূত্র ধরেই পরের দিন গ্রামে গিয়ে খোঁজ করেন ওই দুই ভাই। গ্রামবাসীদের সাহায্যে তাঁরা জানতে পারেন, শান্তি ভাদু নামে ওই মহিলার নাতনির নাম শালু পুনিয়া। এরপরেই শান্তি ভাদু নামে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে এক লক্ষ টাকা ফেরত দিয়ে আসেন ওই দুই ভাই। ওই মহিলার স্বামী কিশোর ভাদু জানিয়েছেন, পুরনো ধার শোধ করার জন্য আবার এক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। নিরাপদে রাখার জন্যই পুরনো বইয়ের মধ্যেই ওই টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী যে সেই টাকা সমেত বই বিক্রি করে দেবেন, তা কে জানত।

যদিও কাগজ এবং পুরনো সামগ্রী কেনা ওই দুই ভাইয়ের সততার জন্য টাকা ফেরত পেয়ে ভাদু দম্পতি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। কিন্তু টাকা ফিরিয়ে দেওয়া দুই ভাই কী বলছেন? সুরেন্দ্র এবং শঙ্করের দাবি, ‘নোটের বান্ডিল দেখে আমাদের চিন্তায় সারারাত ঘুম হয়নি। অতজনের মধ্যে টাকার আসল মালিককে কীভাবে চিহ্নিত করব, তাই ভেবে পাচ্ছিলাম না আমরা।’

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ