আওয়ার ইসলাম: মধ্যপ্রাচ্য থেকে পুরো এশিয়া, আফ্রিকা কিংবা ওশেনিয়া। বিশ্বের যে প্রান্তেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক, সব সময় সরব যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো তার মিত্র রাষ্ট্রে পরিনত হয়। প্রয়োজনে চাপ প্রয়োগও করে থাকে। কিন্তু মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বেলায় যেন মুখে কুলুপ এটে বসে আছে।
আর জাতিসংঘ তো দায়সারা উদ্বেগ জানিয়েই শেষ। সাবেক রাষ্ট্রদূতরা বলছেন, সমস্যার আঁচ গায়ে লাগছে বাংলাদেশের, অন্যদের নয়। তাই মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশেকেই বাড়াতে হবে কূটনৈতিক তৎপরতা।
চোখের সামনেই খুন হয়েছেন আপনজন, হয়েছেন ধর্ষিত, হারিয়েছেন বসতভিটা। গণহত্যার মুখে কোনোমতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জীবনের এমন বর্ণনায় যে কারও ভিজে উঠবে চোখ। অথচ মন গলে না রাষ্ট্রের, তাই তো সীমান্ত খোলা হবে কি, হবে না, তা নিয়ে চলছে বিস্তর বিতর্ক। কিন্তু প্রয়োজন আইন মানে না, প্রবাদটি সত্য করে সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই ঢুকছে অসহায় রোহিঙ্গারা।
নিজ দেশেই যখন নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী তখন নজিরবিহীন নীরবতা বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশসহ অনেক দেশে পান থেকে চুন খসলেই যখন সোচ্চার হয়ে ওঠে পশ্চিমারা, দেয় নানা নসিহত। ক্ষেত্রে বিশেষে পাঠায় সেনা, এবার তারা কুলুপ এঁটেছে মুখে। তাই সাবেক কূটনীতিকদের পরামর্শ, বিশ্ব দরবারে সমস্যার ভয়াবহতা তুলে ধরতে উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশকেই। বাধ্য করাতে হবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের রাষ্ট্রদূতের ঘোষণা, এই সমস্যায় পাশে থাকবে বাংলাদেশের; কিন্তু ওটুকুই। নেই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ। তাই যতদিন না প্রাণভয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত যাবার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে ততদিন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তাদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ সাবেক কূটনীতিক এম এ মোমেন ও আবুল মোমেন চৌধুরীর।
তাঁরা বলেন, সবার সাথে বন্ধুত্বের পররাষ্ট্রনীতি মানে এই নয় যে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যাবে না। তাই মিয়ানমারের মানবতাবিরোধী অবস্থানের বিরুদ্ধে কূটনীতিক তৎপরতা চালানোর পরামর্শ তাঁদের।
সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
এম কে