আওয়ার ইসলাম: ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি ৫ তারকা হোটেলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। ঘটনার নয় মাস পর ই-মেইলে দিল্লির পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। আজ শনিবার এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
খবরে বলা হয়, ওই নারী অভিযোগ এনেছেন তার ট্যুর গাইডসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, কোনাট প্যালেসের কাছে ওই হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেছে ওই ৫ জন।
পুলিশ বলেছে, তারা ‘ধর্ষিতা’র ইমেইল পেয়েছে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, মামলা নিবন্ধিত করতে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি দিল্লি আসতে পারেন। তিনি ইমেইলে তার ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। দিল্লির পুলিশ কমিশনার বরাবরে তিনি এ অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি বলেছেন, টুরিস্ট ভিসায় ২০১৬ সালের মার্চের শুরুতে তিনি দিল্লি এসেছিলেন। এসেই ওই হোটেলে অবস্থান করেন। এখানে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে একটি টুরিস্ট গাইড ভাড়া করে দেয় একটি সংস্থা থেকে। ওই গাইড তাকে পুরো শহর ঘুরিয়ে দেখায়। একদিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই নারী যখন নিজের কক্ষে অবস্থান করছিলেন তখন গাইড তাকে রুট প্লান নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব করেন। চারজন বন্ধু নিয়ে সে তার কক্ষে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণ পরে ওই গাইড তার ওপর চড়াও হয়। তার ওপর জোর প্রয়োগ করে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তার বন্ধুরাও পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ‘ধর্ষিতা’ ভারত ত্যাগ করেন। চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন নি।
অভিযোগে ওই নারী আরও বলেন, ভীষণ হতাশার মধ্য দিয়ে তার সময় যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে তিনি আইনজীবী এমন এক বন্ধুর দ্বারস্থ হন। তিনি তাকে পরামর্শ দেন ভারতের কোনো এনজিও বিষয়ক সংস্থার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানাতে। ওই এনজিওর সদস্যরা তাকে বুদ্ধি দেন ইমেইলের মাধ্যমে পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ পাঠাতে। পরে তিনি এই আবেদন করেন। বর্তমানে এ বিষয়ের মামলাটি হস্তান্তর হয়েছে কোনাট প্যালেস পুলিশ স্টেশনে।
পুলিশ সূত্র বলেছে, হোটেল রেকর্ড ঘেঁটে ওই ট্যুরিস্ট গাইডকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পুলিশ হোটেলটির বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ওই নারীর বিস্তারিত তথ্য চেয়ে যোগাযোগ করেছে দিল্লি পুলিশ।
সূত্র : দৈনিক খবরীন উর্দু
এম কে