আওয়ার ইসলাম: ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষায় জোরপূর্বক খ্রিস্টানদের ইসলামে ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে একটি বিল পাসে ভোট দিয়েছেন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের আইন প্রণেতারা। এতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু কোনো ব্যক্তিকে কেউ জোরপূর্বক অন্য ধর্মে দীক্ষিত করলে তাকে কারাদন্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। জোরপূর্বক ধর্মান্তরে প্রধান অপরাধীর পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল এবং সহযোগীদের তিন বছর পর্যন্ত জেলের বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়, ‘জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ একটি ঘৃণ্য এবং সহিংস অপরাধ এবং বিষয়টি সিন্ধু জুড়ে প্রচলিত হয়ে গেছে তা অবশ্যই নির্মূল করা উচিত। সহনশীলতা, শান্তি এবং সকল ধর্ম ও ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর তাগিদে দলমত নির্বিশেষে তাদের ধর্মকে স্বীকৃতি দিতে হবে।’
নতুন এ আইন অনুযায়ী, সদ্য ধর্মান্তরিত প্রাপ্তবয়স্করা তাদের নিজের ইচ্ছার বাইরে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের ২১ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অভিযোগ প্রদেশটিতে কিছু মুসলমান দীর্ঘদিন ধরে তাদের (ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের) জবরদস্তিমূলক ইসলামে ধর্মান্তরে বাধ্য করছে, বিশেষত যুবতী মেয়েদের।
তাদের অভিযোগ, জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরের কারণে দেশটিতে প্রতি বছর অন্তত ১,০০০ খ্রিস্টান মেয়েরা প্রভাবিত হচ্ছে। নতুন বিশ্বাসের দীক্ষিত করার জন্য অপরাধীরা প্রায়ই তাদের শারীরিক, মানসিকভাবে প্রভাবিত করে থাকে বলে তারা দাবি করেছে।
বিল অনুমোদনে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক খ্রিস্টীয় সংগঠন ‘সেন্টার ফর লিগ্যাল এইড’ সিন্ধু প্রদেশের আইনপ্রণেতাদের সাধুবাদ জানিয়েছে।সংস্থার পরিচালক নাসির সাঈদ বলেন, ‘যদিও এ আইনের মাধ্যমে পুরো পাকিস্তানে জোরপূর্বক ধর্মান্তরের প্রবণতা বন্ধ হবে না। তারপরেও এটি দেশটির ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় একটি মহান পদক্ষেপ।’
সূত্র: ডেইলি খ্রিস্টান
এম কে