এম এ মান্নান: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন উত্তর খয়রাকুড়ি গ্রামের ভন্ডপীর মামুনের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ভন্ডপীর মামুন দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় নানা অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিবর্গ ও মুসল্লীরা তাকে ভন্ডামী থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে আসলেও সে ওসব তোয়াক্কা করেনি। অল্প বয়সী যুবক যুবতীদের ভায়েস্ট করে তার মুরিদ বানিয়ে এদের মাধ্যমে নানা অসৎ উপায়ে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ নেয় মামুন। দাম্পত্য জীবনের কলহ দূর করা, স্বামীকে বশ মানানো, মহিলাদের গোপনীয় নানা অসুবিধা দূর করে দেয়ার প্রলোভন দেখায় এই মামুন। ফলে দিনে দিনে মহিলারা তার ভক্ত হয়ে পড়ে। কেউ কেউ অধিকাংশ সময় তার ঘরে বসে থাকে গিয়ে। স্বামীর নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে মহিলারা মামুনের নিকট গিয়ে বসে থাকার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় লোকজন।
অবশেষে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর মোঃ শাহ জাহানের নেতৃত্বে প্রায় তিনশ মুসল্লী ভন্ডপীর মামুনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় বলে হালুয়াঘাটের কয়েকজন সাংবাদিকের তাদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জানায়। মুসল্লীরা তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এলাকা ছাড়ারও আল্টিমেটাম দেয়। এসব ঘটনায় ব্যথিত হয়ে স্থানীয় মুজিবুর রহমান নামে একজন বাদি হয়ে হালুয়াঘাট থানায় ১৪/১১/১৬ তারিখে মামুনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, আমি নিয়মিত নামাজ না পড়লেও ধ্যানে মগ্ন থাকি। যে সকল ইমাম মানুষের ওপর টর্চার করে আমি তাদের চেয়ে ভাল আছি বলে মামুন এক পর্যায়ে ইমামদেরও সমালোচনা করেন।
হালুয়াঘাট থানার ওসি কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, হালুয়াঘাটে একটি মার্ডার সংঘাটত হয়েছে তো, তাই আমি পীরের আস্তানা পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে যতদূর খবর নিয়েছি, তাদের সাথে অন্য বিষয় আছে। বিষয়টি নিয়ে তারা নিজেরা এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারূপ করে। গুঁড়িয়ে দেয়ার ঘটনা সত্য কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুঁড়িয়ে টুরিয়ে নয় বরং কিছুলোক সেখানে গিয়েছিল। তারা অসামাজিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে মাত্র। কোন বাড়িঘর ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।
এফএফ