আব্দুল্লাহ বিন রফিক; বিশেষ প্রতিবেদক
সৃষ্টিকর্তার শক্তি ও লীলা বোঝা বেশ দূরূহ ও কঠিন বটে। চারপাশে এমন অনেক কিছু মাঝেমধ্যে দেখি যার উপযুক্ত কোনো ব্যাখ্যা থাকে না। ফাঁক-ফোঁকরে এমন কিছু বিষয়ও আছে এ মহাবিশ্বে যাতে চোখকেও মাঝেমধ্যে অবিশ্বাসের পাত্র মনে হয়। এবার ভারতের উত্তর প্রদেশে ২২ বছর বয়সী অরুণ কুমার নামে এমনই এক তরুণের সন্ধান পাওয়া গেলো। জন্মগতভাবেই অরুণ কুমার সাধারণ মানুষের চে’ দু পা বেশি। তার বাকি দু পা পিঠ সংলগ্ন স্থাপিত। তার বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তি পা দুটোও বড় হতে থাকে।
মেইল অনলাইনের রিপোর্ট মোতাবেক অরুণ জানায়, দুটো বাড়তি পা নিয়ে স্বাভাবিক উঠা-বসা ও চলা-ফেরা করতে তার বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। শৈশব থেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখে সে। সেও আর দশটা মানুষের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে। অসহায় ও দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়ায় যুবকের এ স্বপ্ন আজো অপূর্ণ রয়ে গেছে।
অবশেষে সে সাহায্য নেয় সোশ্যাল মিডিয়ার। সে প্রথমে একটি ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে এবং তাতে তার অবস্থার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ প্রদান করে সবার কাছে সাহায্যের আবেদন করে।
অরুণের এই দরদমাখা ভিডিও দিল্লীর ফোর্টস হাসপাতালের চিকিৎসকদের হৃদয় স্পর্শ করে। এরপর অরুণের সাথে চিকিৎসকরা যোগাযোগ করে প্রাথমিক টেস্টগুলো সম্পন্ন করেন যাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় তাকে কতটুকু তারা সাহায্য করতে পারবেন।
আবেদন কাজে দিয়েছে বলে অরুণ উচ্ছ্বসিত হয়ে জানায়, যদি আমার অপারেশন করে ডাক্তারগণ সফল হন তাহলে আমি অন্যদের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো। আমিও স্বাচ্ছন্দে হাঁটতে পারবো। ঘুরতে পারবো।
তার মা কোকিল দেবী স্থানীয় মিডিয়াকে জানায়, যখন অরুণ আমার গর্ভে তখন তার এই বাড়তি পাগুলোর জন্য আমার বেশ কষ্ট হয়েছিলো। যখন সে ভূমিষ্ঠ হলো তখন তার সবকটি পা আকারে সমান ছিলো। কিন্তু তারপরেই পিছনের পা দুটো খুব বেঢপ বেড়ে উঠতে লাগলো। চিকিৎসকরা শৈশবে তার স্বাস্থ্যহানির ভয়ে অপারেশন করতে অস্বীকার করে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কোনো পরম স্নেহশীল হৃদয়বান ব্যক্তি অরুণের সাহায্য এগিয়ে আসবেন এবং তার পুত্রের অপারেশন করিয়ে তাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
সূত্র: দৈনিক পাকিস্তান উর্দু
আরআর