মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ। নানা পরিচয়ে পরিচিত। সম্প্রতিক কওমি সনদেও স্বীকৃতি বিষয়ে গণমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছেন তিনি। গঠন করেছেন, কওমি শিক্ষা সনদ বাস্তবায়ন পরিষদ। পরিষদের সদস্য সচিব হিসাবে বেশ সক্রিয় তিনি। দেশের নানা প্রান্তে চষে বেড়াচ্ছেন স্বীকৃতির জনমত গঠনে। চলতি মাসের ১৭ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আহ্বান করেছেন মানবন্ধনের। কওমি শিক্ষার চলমান এই সংকটকালে মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদের মুখোমুখি হয়েছেন আওয়ার ইসলামের সংবাদকর্মীরা। সাক্ষাৎকারটি পাঠকের সামনে উপস্থাপন করছেন ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ।
আওয়ার ইসলাম : সম্প্রতিক সময়ে কওমি মাদরাসার স্বীকৃতিকে কেন্দ্র কওে, নামে বেনামে অনেক সংগঠনের জন্ম হচ্ছে, আপনার সংগঠন ‘কওমি শিক্ষা সনদ বাস্তবায়ন পরিষদ’ কবে শুরু হলো এবং কেন শুরু হলো জানতে চাই?
ইয়াহয়া মাহমুদ : কওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদ বাস্তবায়ন পরিষদ এটা বিশেষ একটা পরিস্থিতিতে গঠন করা হয়। কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি এ দেশের আলেম, মাদরাসার ছাত্রদের দীর্ঘ দিনের দাবি। তাদের সেই প্রাণের দাবির স্বপক্ষে আলেমদের এবং ছাত্রদের আন্দোলন চলছিলো দীর্ঘদিন যাবত এবং তাদের সেই আন্দোলন এক পর্যায় গিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম সমাজ মাঠে নামে। তার মাঝে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক সাহেবের কথা এবং তিনি ঢাকার মুক্তাঙ্গনে অবস্থান ধর্মঘট পর্যন্ত করেন। সেই অবস্থান ধর্মঘটে বাংলাদেশের সকল আলেম একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে আমি নিজে গিয়েও তার পাশে অনেক সময় বসে ছিলাম। তারপরেও সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার টনক নড়েনি। এরপর তার জোট সঙ্গী আলেমগণের বিশেষ অনুরোধে তিনি স্বীকৃতি দিতে রাজি হন এবং ২০০৬ সালের শেষ দিকে এসে আলেমদের ডেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বীকৃতির ঘোষণাও দিয়ে দেন।
সেই অনুষ্ঠানে আমি নিজেও ছিলাম। এর পরে আমরা দেখতে পেলাম সেই স্বীকৃতির বাস্তবায়ন হলো না। না হওয়ার কারণ হচ্ছে সেই সময় ক্ষমতাসীন দল জামায়াতে ইসলামীর এমপি, মন্ত্রীরা ও আমলারা। তারা সেই স্বীকৃতিকে কার্যকর হতে দেননি। ফলে সেটা সেখানেই চাপা পড়ে যায়। এর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে এবং তাদের নির্বাচনের মাধ্যমে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসেন বর্তমানের প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি কিছু আলেমদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে প্রায় ২৫ জন আলেম ছিলেন। সেখানে আমিও ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বললেন বৈঠকটি আরো বড় হওয়া দরকার। এর পরে দ্বিতীয় বৈঠক হয় সেখানে ৬২ জনের মত আলেম ছিলেন। সেখানে আমিও ছিলাম, শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক (র.) ও ছিলেন এবং আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব হুজুরও ছিলেন। যারা জোটের রাজনীতিতে সক্রিয় তারা ছাড়া সবাই ছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বললেন আমি তো কওমি মাদরাসার শিক্ষার বিষয়ে কিছুই জানি না। আপনারা যেইভাবে বলবেন আমি সেই ভাবেই স্বীকৃতি দিবো। তখন থেকে এটা নিয়ে নতুন করে একটা জোয়ার শুরু হয়। সেই সময় আমরা ভাবছিলাম স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি। কিন্তু হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম জোট সরকারে থাকা আলেমগণের পক্ষ থেকে একটি কথা বের হতে লাগলো যে, ‘কওমি মাদরাসা আকাবিরদের আমানত’। এই আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। তখন আমাদের প্রশ্ন জাগলো ২০০৬ সালে যে আমানত নিয়ে নিলেন তখন আমানত ছিলো না। আজ কেন হঠাৎ করে আমানতের কথা স্মরণ হচ্ছে।
এতো কিছুর পরও বর্তমান সরকার একটা কমিশন করে দেন। সেই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয় আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব হুজুরকে এবং কো- চেয়ারম্যান করা হয় আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউকে, সদস্যসচিব করা হয় মুফতি রুহুল আমিন সাহেবকে। এই ১৭ জনের কমিশন দীর্ঘদিন মিটিং করে আল্লামা আহমাদ শফি সাহেব হুজুরের দোয়া নিয়ে কাজ শুরু করলেন এবং একটা সুপারিশমালা প্রনয়ন করে সরকারের কাছে জমা দিলেন। সেই বিষয়টা সরকার যখন পাশ করার মুহূর্ত আসলো তখন হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে লাশ ফেলার হুমকি আসে। যার ফলে এটা স্থগিত হয়ে গেলো। স্থগিত হয়ে যাওয়া বিষয়টা আর কোন নড়াচড়া ছিলো না।
গত ১১ আগস্ট হঠাৎ করে এক লক্ষ্য আলেমের স্বাক্ষরিত শান্তির ফতোয়া কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রস্তাব করেন এবং আবারও চাঙ্গা করে তুললেন। যার ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন, কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়ে আমি আগেও বলেছিলাম, তখন আপনারা এক মত হয়ে আসতে পারলেন না, আপনারা হয় একমত হয়ে আসেন, না হলে যত দূর সম্ভব তত দূর এক হয়ে আসেন। আমরা কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিবো। তখন আমরা আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে বললাম এখন তো আর বসে থাকা যায় না। এই প্রেক্ষিতেই তাৎক্ষণিক ভাবে আগস্ট মাসে ১১ তারিখে কওমী মাদরাসা শিক্ষা সনদ বাস্তবায়ন পরিষদ গঠন করে আমরা এই বিষয়ে কাজ শুরু করি।
আওয়ার ইসলাম : আপনিও বললেন, আমরা বিষয়টা জানি, গত জোট সরকারের আমলে একটা গেজেট প্রকাশিত হয়েছিল। তো গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর যত সময় পযর্ন্ত তা বাতিল করা না হয়, তত সময় পযর্ন্ত তা কার্যকর। তাহলে তো বলা যায় জোট সরকারই কার্যত কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছে। আবার নতুন করে আপনারা দাবি জানিয়ে আসছেন কেন? পূর্বেরটাই তো কার্যকর করা যেত। সেই গেজেটটা বাস্তবায়ন করলেই তো হয়ে যায়। নতুন করে কমিশন বা অন্য কিছুর আর প্রয়োজন হয় না।
ইয়াহয়া মাহমুদ : গেজেট হয়ে গেছে, সেই গেজেটটা কেন বাস্তবায়ন করা হয়নি? কারণ ২০০৬ সালের সেই গেজেটটা অকেজো করার জন্য যা যা দরকার ছিলো তা তারা করে রেখে গেছেন, এটা যেন সচল হতে না পারে। এটা যদি সচল হওয়ার অবস্থায় থাকতো তাহলে যারা আন্দোলন করে সেই গেটেজ প্রাকাশ করেছিলো তারাও নতুন করে স্বীকৃতির দাবি জানাতো না। এই বিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে এতো হাজার হাজার আলেম ওলামা আন্দোলন করার পরে গেজেট প্রকাশ পেল এখন তারা যেহেতু আবার নতুন করে স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছেন এবং এর সাথে মুফতি ওয়াক্কাস সাহেবসহ বিজ্ঞ আলেম সমাজও যেহেতু আছেন তারা নিশ্চয় এটা জনতেন যে এটা দিয়ে কিছু হবে না তাই তারা নতুন করে শুরু করেছেন এটা হচ্ছে প্রথম কারণ।
আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে, সেই স্বীকৃতির মাঝে সরকারি আমলাদের প্রভাব বেশি ছিলো। যার ফলে তারা আর সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করার কথা ভাবেননি।
আওয়ার ইসলাম : কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। তো স্বীকৃতিই যেখানে হয়নি সেখানে বাস্তবায়ন পরিষদের কী প্রয়োজন?
ইয়াহয়া মাহমুদ : কওমি শিক্ষার সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। এখানে দুইটা বিষয় একটা হচ্ছে স্বীকৃতির দাবী আর একটি হলো বাস্তবায়ন। তো মূল নাম হচ্ছে ‘কওমি মাদরাসা শিক্ষা সনদ স্বীকৃতির দাবী আদায় ও তা বাস্তবায়ন পরিষদ।
আওয়ার ইসলাম : স্বীকৃতির দাবি আদায়ের জন্য আপনারা কী ধরণের কার্যক্রম করছেন?
ইয়াহয়া মাহমুদ : আমরা জনমত গঠনে কাজ করছি এবং জনমত গঠন হয়েও গেছে। যারা স্বীকৃতির বিপক্ষে ছিলেন তারাও এখন স্বীকৃতির পক্ষে কথা বলছেন তবে একটু ঘুরিয়ে বলছেন। তবে স্বীকৃতির বিপক্ষে বলার মত বড় কোন আলেম নেই।
আওয়ার ইসলাম : দেওবন্দের আদলে স্বীকৃতি চাই, আমার প্রশ্ন হলো দেওবন্দের আদলে কোন স্বীকৃতি আছে কি না? দেওবন্দের ৮ মূলনীতি অনুযায়ী স্বীকৃতি নিলে কওমি মদরাসাগুলো কোন অবদান গ্রহণ করবে কি না? দেওবন্দের ৮ মূলনীতি মানলে তো স্বীকৃতিরই প্রয়োজন হয় না?
ইয়াহয়া মাহমুদ : দারুল উলুম দেওবন্দের কোন স্বীকৃতি নেই। দারুল উলুম দেওবন্দের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে মুয়াদালার চুক্তি আছে। মুয়াদালার চুক্তি হলো, দাওরায়ে হাদিসের দনদ দিয়ে ইন্টামেডিয়েট সমমানে তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দেয়া। দারুল উলুম দেওবন্দের আদলে স্বীকৃতি চাওয়ার অর্থ হলো, দারুল উলুম দেওবন্দের মূল নীতি বিসর্জন দিয়ে স্বীকৃতি নয় বরং মূল নীতিগুলো ঠিক রেখে স্বীকৃতি। দেওবন্দের ৮ মূলনীতি মাঝে আছে সরকারি অনুদান গ্রহণ করা যাবে না। এই বিষয়টি আমাদের এখানেও আছে এই মাদরাসা গুলো কখনো এমপিভুক্ত হবে না। স্বীকৃতি হচ্ছে শুধু মাত্র আমাদের সামাজিক মর্যাদার কারণে চাওয়া। সরকারি রুটি রুজির জন্য আমরা সনদ চাচ্ছি বিষয়টা এমন না। আর স্বীকৃতি চাওয়ার আরো একটি কারণ হচ্ছে সরকারি ধর্মীয় যত সেক্টর আছে সেই সব সেক্টরে হয় জামাতী না হয় বেদয়াতী না হয় আহলে হাদিসদের দখলে আমাদের কওমি মাদরাসার কারো দ্বারা সেই সব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে না। এই সব সেক্টরকে বেদায়াতী ও জামাতীদের থেকে মুক্ত করার জন্য এই স্বীকৃতিটা আমাদের প্রয়োজন।
আওয়ার ইসলাম : আপনি বলছিলেন, আমরা জনমত তৈরির জন্য সারা দেশ সফর করেছি এবং এখন তা তৈরি হয়ে গেছে। তো আমরা যদি বিষয়টি একটু ভিন্নভাবে দেখতে চাই, সারা দেশেই বেফাকসহ শীর্ষ আলেমরা আগেই স্বীকৃতির পক্ষে জনমত গছন কওে রেখেছেন, ঠিক যখন আপনারা দেখলেন স্বীকৃতি হচ্ছে বা হয়ে যাচ্ছে তখন আপনারা ক্রিমটা খাওয়ার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন।
ইয়াহয়া মাহমুদ : স্বীকৃতিটা হচ্ছে আমাদের একটা দাবি। সেটা সব সময় আন্দোলন করে কিংবা কুটকৌশল করে আদায় করে নিতে হয়। দাবি কখনো কেউ কাউকে এমনিতে দিয়ে দেয় না।
আওয়ার ইসলাম : গত কয়েদিন আগে আপনি দেশর কওমি মাদরাসার আস্থা-বিশ্বাস ও চেতনার ঠিকানা ‘বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের কয়েকজনকে দোষি করে একটি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন। এবং বেফাকের কমিটি পুনর্গঠনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথাও আপনি বলেছেন? এই কথাটা কেন বলেছেন এবং কী উপলক্ষ্যে বলেছেন?
ইয়াহয়া মাহমুদ : বেফাক একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। আলেম সমাজের দৃষ্টিতে কওমি মাদরাসার এক মাত্র স্বীকৃত এবং গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান। অন্য বোর্ডগুলো বেফাকের তুলনায় উল্লেখ করার মত না। বেফাক নিজেদেরকে তাই মনে করে। বেফাকের কাজ হলো শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু তার এই দায়িত্ব পালন না করে বেফাক কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির প্রভাবে প্রভাভিত হয়ে রজনৈতিক হীনস্বার্থ চরিতার্থ করছে। বর্তমানে বিশ লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি এই স্বীকৃতি নিয়ে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলছে কখনো বলছে স্বীকৃতি চাই আবার কখনো বলছে চাই না। আবার কখনো বলছেন, এই স্বীকৃতি নিলে আকাবিরদের আমানত নষ্ট হয়ে যাবে। এই কারণে আমরা বুঝতে পারছি বেফাক স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে রাজনীতিতে নেমেছে।
আওয়ার ইসলাম : বেফাকের মজলিশে শুরা ও আমেলা আছে, স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে যা বলা হয় তা শুধু বেফাকের মতামত কিন্তু আপনি ব্যক্তির নিজস্ব কিছু কথাকে কেন বেফাকের উপর চাপাচ্ছেন?
ইয়াহয়া মাহমুদ : সংগঠন আলাদা কোন জিনিস না সংগঠন বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ দিয়েই হয়ে থাকে। তাহলে বেফাক কেমন সংগঠন যেখানে নিজেদের ব্যক্তিরাই উল্টা কথা বলে। সেখানে সংগঠণের কোন কথা নেই। বেফাকের অবস্থান বেফাক পরিষ্কার করে না কেন?
আওয়ার ইসলাম : আপনার সংগঠনের মেয়াদ মাত্র দুই মাস, আর বেফাক প্রায় চল্লিশ বছর, তো চল্লিশ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী জাতীয় বোর্ডকে পুর্ণগঠনের হুমকি দুই মাসের জন্ম নেওয়া সংগঠনের সদস্য সচিবের জন্য হাস্যকর না?
ইয়াহয়া মাহমুদ : আমরা যারা কওমি মাদরাসা স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সাথে আছি আমরা সবাই বেফাক ভুক্ত। এই যে নয় সদস্যের সার্চ কমিটি হয়েছে সেখানেও দুইজন আছেন যারা বেফাকের মুরুব্বি। আমরা বুঝতে পারছি সেখানে একটা রাজনীতি খেলা হচ্ছে তাই আমরা কমিটি পুর্ণগঠনের কথা ভাবছি।
আওয়ার ইসলাম : আপনি মনে করেন, মাত্র দেড় মাস আগে জন্ম নেয়া এই সংগঠনটি জনপ্রিয়তায় বেফাককে ছাড়িয়ে গেছে?
ইয়াহয়া মাহমুদ : আল হামদুলিল্লাহ, তা হয়েছে।
আওয়ার ইসলাম : শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে আগের কমিটিকেই সচল করে দেয়া হয়েছে। তো এখন আপনাদের কোন কাজ আছে?
ইয়াহয়া মাহমুদ : স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির কাজ সেই দিনই শেষ হবে যে দিন স্বীকৃতি হয়ে যাবে।
এফএফ