আওয়ার ইসলাম : ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কোরবানির ঈদের এক সপ্তাহ আগে বাজারে যথেষ্ট গরু পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ী ও গবেষকদের ধারণা বাংলাদেশে প্রতিবছর ঈদুল আজহার সময় ৮০ লাখের মতো গরুর দরকার হয় যার চার ভাগের একভাগ অবৈধভাবে ভারত থেকে আসতো। কিন্তু গত দু'বছর ধরে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে গরুর ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, একারণে দেশের ভেতরেই প্রচুর খামার গড়ে উঠেছে যেখান থেকে চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
পশুর প্রধান হাট ঢাকার গাবতলিতে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু আনা শুরু হয়েছে। হাট জমে উঠতে কয়েকদিন সময় নেবে। তবে এখনই অনেক ক্রেতা ভিড় করছেন। তাদের কয়েকজন বলছিলেন, দাম বেশি হলেও দেশী গরুর দিকেই তাদের প্রথম নজর। কারণ দেশি গরুর মাংসের স্বাদ ভাল। কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে গত বছর চুয়াডাঙ্গার প্রত্যন্ত এক গ্রামের শফিকুল ইসলাম বাড়ির সাথেই ছোট একটি খামার করেছিলেন পাঁচটি দেশি গরু নিয়ে। গত বছর ঈদে তিনি ভাল দাম পেয়েছিলেন।
ঈদে দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকে, আগের অভিজ্ঞতা থেকে এ বছর তার খামারে গরুর সংখ্যা বাড়িয়েছিলেন। তার দেখাদেখি পরিবারের অন্য সদস্যরাও গরুর খামারে উৎসাহী হয়েছেন।এ বার তারা সকলে একসাথে ৩৯টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। চুয়াডাঙ্গার আরেকজন খামারী আবুল কালাম আজাদ চাইছেন, ভারত থেকে গরু আসা যেন বন্ধ থাকে। তাহলে তারা এবারও ভাল দাম পাবেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে খামারের সংখ্যা ও গরুর উৎপাদন অনেক বেড়েছে এবং দেশের ভেতরের সরবরাহ থেকেই চাহিদা মেটানো সম্ভব।কোরবানির পশুর বাজার নিয়ে গবেষণা করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলছিলেন, দেশের ভেতরে সরবরাহ বাড়ায় দামের উপর চাপ ক্রমান্বয়ে কমে আসছে।তিনি বলছিলেন, "প্রতি বছর ভারত থেকে বিশ লাখের মতো গরু আসতো। আর আমাদের দেশে কোরবানির ঈদে আশি লাখের মতো গরু প্রয়োজন হয়। গত বছর থেকে ভারতের গরু আসা বন্ধ হওয়ায় মাংসের দাম বেড়েছে। ফলে মানুষ উৎসাহিত হয়ে খামার করছে।দেশের ভিতরে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় গরুর দামের উপর চাপ কমে আসছে।
সূত্র : বিবিসি
এফএফ