আমিনুল ইসলাম হুসাইনী, কুমিল্লা
কুরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে অাসছে ততোই যেন ব্যস্ততা বাড়ছে কুমিল্লার পশু ব্যবসায়ীদের। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ ও সৌন্দর্য বর্ধন ঘটানোর কাজে এখন ব্যস্ত সবাই। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই কারো। সস্তা দামে গরু কিনে এনে স্বল্প দিনের মধ্যেই মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়ার হীন উদ্দেশ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে অসাধু পশু বিক্রেতারা। আর এ জন্য বেছে নিয়েছেন ভিটামিন ট্যাবলেট, পাম বড়ি এবং ভিটামিন ইনজেকশন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার ১৬ উপজেলায় ছোট-বড় দুই হাজার ৬১৭টি এবং ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে ৮০ হাজার ৭৫৯টি খামারে তিন লাখ ৩১ হাজার ৫৩৫টি বিভিন্ন প্রজাতির গরু মোটাতাজাকরণের কাজ চলছে।
গরু মোটাতাজাকরণের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান জানান, আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করার বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ও উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পরামর্শসহ সবধরণের সহযোগিতা দিচ্ছেন।
তবে উপজেলা পর্যায়ে গড়ে মাত্র ২-৩ জন ভেটেনারি ফিল্ড অ্যাসিস্টেন্ট (ভিএফএ) দিয়ে খামার তদারকিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, কিছু অসাধু লোক অধিক লাভের আশায় নিষিদ্ধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য তিকর ঔষধ ও ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করণের প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছেন। তিনি ক্রেতাসাধারণদের এসব বিষয়ে সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ক্রেতাসাধারণ সচেতন হলে খামারিরা নিষিদ্ধ উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ থেকে বিরত থাকতে বাদ্ধ থাকবে।
এআর