আওয়ার ইসলাম: পবিত্র হজ নিয়েও অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
সংগঠনের পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ বছর আল্লাহর মেহমান হাজিদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয়েছে। হজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন নিবন্ধন, বাড়ি ভাড়া, ভিসা, টিকেট ও ফ্লাইটে ওঠা পর্যন্ত অধিকাংশ হজযাত্রীকে এত অনিশ্চয়তা ভোগান্তি হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে যার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। এ বিষয়ে অনেকেই মনে করছেন, একশ্রেণির নাস্তিক মহান ইসলাম ও মুসলমানদের পবিত্র ইবাদত হজের প্রতি সাধারণ মানুষকে বিষিয়ে তুলতেই কৌশলে প্রতিটি জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিপত্তি সৃষ্টি করেছে; যেন মানুষ পবিত্র ক্বাবা জিয়ারতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেরাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
কুরবানির স্থান নির্ধারণকে অতিরঞ্জিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামবিদ্বেষী মহল ধর্মীয় অনুষ্ঠান কুরবানির সমালোচনা ও ছিদ্রান্বেষণে সারা বছরই টালবাহানা করে থাকে। কুরবানির বর্জ্য প্রতিটি পরিবার নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে থাকেন। বর্জ্য কেউ যত্রতত্র রক্ত ও বর্জ্য ফেলে রাখে না। তারপরও কুরবানির মতো ইবাদতকে কেউ নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
তিনি কুরবানির নির্দিষ্ট স্থান ও ১৮ বছরের নিচে কেউ কুরবানি করতে পারবে না এধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ আইন বহাল রাখলে ইসলামপ্রিয় জনতা প্রতিবাদমুখর হতে বাধ্য হবে।
আরআর