আওয়ার ইসলাম: বিতর্কিত পাকিস্তানি মডেল কান্দিল বালোচ খুন হয়েছেন। মিডিয়া বলছে কান্দিল তার ভায়ের হাতেই খুন হয়েছেন। পারিবারিক সম্মান রক্ষার্থেই নাকি তাকে খুন করা হয়েছে।
শনিবার মুজফফরাবাদের গ্রিন টাউন এলাকায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
কান্দিল বেলুচ তাঁরে খোলামেলা পোশাক ও নানা ধরনের বিতর্কে সবসময় সংবাদের শিরোনামে হয়েছেন। তিনি তার কেরিয়ারে যতটা সফল ছিলেন, তার চেয়েও বেশি তিনি জনপ্রিয় ছিলেন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে। বিভিন্ন স্যোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তাঁর খোলামেলা পোশাক ও বিতর্কিত মন্তব্য তাঁকে অনেক খ্যাতি এনে দিয়েছিল। আর এসবই মানতে পারেনি তার ভাই। কান্দিলকে এই বিনোদনের জগত ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলা হয়। তা না করাতেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ। কিছুদিন আগেই কান্দিল জানিয়েছিলেন, তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : বিতর্কিত সেলফিতে কান্দিল
কান্দিল বেলুচ এর আগে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান। ঈদ-উল-ফিতরের পরই তিনি বাবা-মাকে নিয়ে বিদেশযাত্রা করবেন বলেছিলেন। তবে তার আগেই তাঁকে মেরে ফেলা হল।
কান্দিলের মৃত্যুতে আরও একবার অনার কিলিংয়ের ঘটনা ঘটল বলেই মনে করছে পাক পুলিশ। দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাত্কারে কান্দিল বলেছিলেন, ‘‘আমি এখানে নিরাপদে নেই। ইদের পরই আমি বিদেশে সেটল করব।’’
কান্দিলের বিয়ের খবরও কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে। ১৭ বছর বয়সে হুসেইন নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু দু’বছরের মধ্যে ছেলে নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন বালোচ। তাঁর ডিভোর্স হয়ে যায়। বালোচ বলেছিলেন, ‘‘আমার স্বামী আমাকে মারত। ছেলেকে বলতে দিত না যে, আমি ওর মা। আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’
ডিভোর্সের পরই শুরু হয় কান্দিলের মডেলিংয়ের কেরিয়ার। কিন্তু বার বার বিতর্কে জড়ানোয় বাধা আসছিল পরিবারের মধ্যে থেকেই। প্রশ্ন উঠছে, ভাইয়ের কথা না শোনাতেই কি খুন? গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পাক পুলিশ।
গত রমজানে কান্দিল পাকিস্তানের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য মুফতি আব্দুল ক’বীর সঙ্গে সেলফি তোলেন। ঘটনাটি বেশ তোলপাড় হয়। এ কারণে চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যপদও বাতিল করা হয় ওই মুফতির।
সূত্র : দৈনিক ডন, আনন্দবাজার
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর