জুলাই থেকে শুরু হওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে যখন পুলিশ ও ছাত্রলীগের নৃশংসতায় একের পর এক ছাত্র জনতা আহত ও প্রাণ হারাতে থাকে তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা প্রদান তাদের সার্বিক খোঁজ খবর নিয়ে যাচ্ছিল হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অফ বাংলাদেশ।
সংস্থাটির পরিচালক মুহাম্মদ রাজ বলেন ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনের সময় বর্বর হামলা দেখে আমরা নিজেদের ধরে রাখতে পারছিলাম না। যেহেতু আমাদের কাজ সেবা দেয়া তাই দ্রুত ফান্ড সংগ্রহ করে মাঠে নেমে যাই। কাঁচপুর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় আসি এবং লাগাতার সাথীদের নিয়ে কাজ করতে থাকি।
সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইবরাহীম খলিল জানান, সংস্থাটি ঢাকা মেডিকেল এনাম মেডিকেল,মুগদা মেডিকেল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ও নির্যাতিত হাজারো ছাত্র ও জনসাধারণকে আন্দোলনের শুরু থেকেই দেখে আসছি আমরা। তিনি বলেন আমরা যতটা সম্ভব শিক্ষার্থীদের সেবা করেছি। চিকিৎসা করাতে না পারা ছাত্র ও জনসাধারণকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি,আলহামদুলিল্লাহ।
নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, এমনো রোগী আমরা পেয়েছি যার শরীর পিঠ দিয়ে ঢুকে পেট এবং বুক দিয়ে বেরিয়েছে। হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতনে অকেজো হয়ে গেছে। ভয়ে অনেকে চিকিৎসা সম্পন্ন না করেই হাসপাতাল ছেড়েছে। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত তাদের খোঁজখবর নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে পাশে থেকেছি।
জানা যায় সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ফয়সাল বিন হুসাইন আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরনের সময় পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে কয়েকটা অপারেশনের পর এখনো শয্যাশায়ী অবস্থায় আছেন।
প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহসিন বিন মুঈন বলেন, আন্দোলনকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ, আহতের চিকিৎসা দেয়ার পরে এখন রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্বপালনকারী ছাত্রদের মাঝে নিয়মিত খাবার ও পানি বিতরণ করছি আমরা। এছাড়া সরকার পতনের দিন সেনাবাহিনীর সাথে পুরো রাত আমরা জাতীয় সংসদ ভবন পাহারা দিয়েছি।
উল্লেখ্য যে 'হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ' সরকারের নিবন্ধন প্রাপ্ত এবং সর্ব মহলে সমাদৃত একটি অরাজনৈতিক অলাভজনক সেবা সংস্থা। যার সরকারী রেজিস্ট্রেশন নং S138779/22
প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সংস্থাটি তার প্রতিটি কাজের হিসাব ও অডিট রিপোর্ট স্বচ্ছতার জন্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে।
কেএল/