বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ।। ৬ কার্তিক ১৪৩১ ।। ২০ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :

ডিসপ্লে উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইনফিনিক্স

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নিত্যনতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বাজারে এনে তরুণদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে গেমিং এবং ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে দিচ্ছে অসাধারণ অভিজ্ঞতা। যা একইসঙ্গে সাশ্রয়ী এবং উন্নত ফিচারসমৃদ্ধ।

জেন জি-দের চিত্তাকর্ষক ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দিতে এই সিরিজের ডিভাইসগুলোতে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের সাথে আছে ৬.৭৮ ইঞ্চি থ্রিডি কার্ভড অ্যামলয়েড ডিসপ্লে। ২৪৩৬x১০৮০ পিক্সেলের নিখুঁত রেজ্যুলেশনের কারণে প্রতিটি ছবির ডিটেইল ফুটে ওঠে। এছাড়া নেটফ্লিক্স বা ইউটিউবে পছন্দের সিরিজ দেখা, গেমিং বা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রলিংয়ের সময় নোট ৪০ সিরিজ সব মিলিয়ে এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা দেয়।

বর্তমানে দ্রুত গতির পৃথিবীতে স্মার্টফোনে একটি উচ্চমানের ডিসপ্লে থাকা জরুরি। সেদিক থেকে নোট ৪০ সিরিজের ডিসপ্লে ব্যবহারকারীরা পাচ্ছেন দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। এর অ্যামলয়েড প্রযুক্তি প্রতিটি পিক্সেলকে রঙ ও গভীরতায় সমৃদ্ধ করে, ফলে কনটেন্ট দেখা আরও প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

গেমারদের জন্য নোট ৪০ সিরিজে রয়েছে মিডিয়া টেক হেলিও জি৯৯ আলটিমেট চিপসেট, যা ফ্লুইড অ্যানিমেশন এবং দ্রুত ফিডব্যাক সময় নিশ্চিত করে। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের কারণে প্রতিটি অ্যানিমেশন তাৎক্ষণিকভাবে স্ক্রিনে প্রতিফলিত হয়, যা উচ্চ চাপের গেমিং পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেয়। এছাড়া, এর ডিসপ্লে ব্যবহারকারীর চোখের জন্য সুরক্ষিত, ফ্লুইড এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় টাচ অভিজ্ঞতা দেয়।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ উচ্চমানের অ্যামলয়েড ডিসপ্লের মাধ্যমে ডিসপ্লে মানের নতুন এক মানদণ্ড স্থাপন করেছে। আর সম্প্রতি বাজারে আসা নোট ৪০এসের মাধ্যমে ইনফিনিক্স থ্রিডি কার্ভড অ্যামলয়েড ডিসপ্লে ব্যবহার করে সেই ধারাকে আরও এক ধাপ সামনে নিয়ে গেছে। ইনফিনিক্স এর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সবার জন্য এই ডিসপ্লে মিড রেঞ্জের বাজেটে ফ্ল্যাগশিপ ডিসপ্লে ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। 

আসন্ন হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলোতে ডিসপ্লে আরও উন্নত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ইনফিনিক্স, যা সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের উন্নত ভিজ্যুয়াল এবং স্মুথ পারফরম্যান্স দেবে।

উল্লেখ্য, ইনফিনিক্স মোবিলিটি একটি উদীয়মান প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের আওতায় বিশ্বজুড়ে অনেক ধরণের ডিভাইস ডিজাইন, প্রস্তুত ও বাজারজাত করে থাকে কোম্পানিটি। আজকের তরুণদের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ডিভাইস প্রস্তুত করা তাদের মূল লক্ষ্য। এই ফোনগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য চমৎকার স্টাইল, পাওয়ার ও পারফরম্যান্স। ইনফিনিক্সের ট্রেন্ডি ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়।

"ভবিষ্যৎ আমাদের হাতের মুঠোয় (দ্য ফিউচার ইজ নাও)" মূলমন্ত্র নিয়ে ইনফিনিক্স আজকের তরুণদের স্বকীয়তা তুলে ধরার জন্য অনুপ্রাণিত করতে চায়।

আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি অঞ্চলের ৭০টির বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ইনফিনিক্সের মরক্কোতে একটি কনসেপ্ট স্টোর, এর বাইরে ৭৪টি অনুমোদিত স্টোর (৩০% ইয়ার-অন-ইয়ার বৃদ্ধি) এবং সারা পৃথিবী জুড়ে ৪৬,৭০০টি রিটেইল স্টোর আছে। ইনফিনিক্সের একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক ফ্যানবেইজ তৈরি হয়েছে। নতুন পণ্য ও প্রযুক্তি দ্রুত ফ্যানদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং এক্সওএস ফ্যান এডিশন টেস্ট করার জন্য নিয়মিত অফলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে কোম্পানিটি।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ