বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার অন্য স্মার্টফোন ও ডেস্কটপে অনেকেই ভিপিএন ব্যবহার করেন। কিন্তু এই অ্যাপ ও সফটওয়্যার বাড়তি সুবিধা দিলেও ব্যবহারকারীর ঝুঁকিও রয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হতে পারে। এমন ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণও চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। এমন অভিযোগ অনেক ব্যবহারকারীদের। কিন্তু আসলেই কি তাই? জানুন ভিপিএন ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে।
ভিপিএন কী?
ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন মূলত ওয়েবসাইট এবং আপনার আইপি অ্যাড্রেসের মাঝে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে। অর্থাৎ আপনি যদি কোনও ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন এবং ভিপিএন কানেক্ট থাকে, তাহলে আপনার ডেটার সোর্স হবে উক্ত ভিপিএন প্রোভাইডার। আপনার আইপি অ্যাড্রেস জানা যাবে না। ইন্টারনেটে প্রতিদিন প্রচুর জিনিস সার্চ করেন ইউজাররা। সেসব ওয়েবসাইটে আপনার ডেটা যাতে না যায়, তা নিশ্চিত করে ভিপিএন।
ভিপিএন সার্চ এবং সাধারণ সার্চের মধ্যে পার্থক্য?
ভিপিএন ছাড়া সার্চ করলে খুব সহজেই ইউজারের আইপি অ্যাড্রেস জানতে পারে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং থার্ড পার্টি অ্যাপস। পাশাপাশি ইউজারের লোকেশনও খুব সহজে ট্র্যাক করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ভিপিএন ইউজারের ডেটা গোপন রাখতে সাহায্য করে। আপনার লোকেশন, আইপি অ্যাড্রেস নিরাপদ রাখে। যেহেতু ইউজারের লোকেশন ওয়েবসাইটের কাছে পৌঁছায় না। তাই সেই ওয়েবসাইটের অ্যাক্সেস সীমিত থাকলেও, সেখানে ভিজিট করা যায়।
বর্তমানে একাধিক সংস্থা ভিপিএন পরিষেবা দিয়ে থাকে। তাদের পরিষেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে এসব সুবিধাগুলো -
ডেটা এনক্রিপশন: ইউজারের ডেটার সোর্স এনক্রিপ্টেড থাকে।
নিরাপদ ডেটা ট্রান্সফার: সাধারণ নেটওয়ার্কের তুলনায় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক নিরাপদ ডেটা ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে।
ওয়েবসাইটের সীমিত অ্যাক্সেস: লোকেশন এবং ডেটা সোর্স গোপন থাকায় কোনও ওয়েবসাইটে সীমিত অ্যাক্সেস থাকলেও, তা ব্যবহার করা যায়।
ভিপিএন কি সত্যি ব্রাউজিং হিস্ট্রি নিরাপদ রাখে?
ইউজার যখন কোনও ওয়েবসাইটে ভিজিট করে বা ইউআরএল (URL) টাইপ করে, তখন ইউজারের ডিভাইস একটি ডোমেইন নেম সিস্টেম (DNS) আবেদন পাঠায়। সেটাই আইপি অ্যাড্রেস হয়ে পৌঁছায় ওয়েবসাইটের কাছে। ফলে আপনার সার্চ হিস্ট্রি অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু, ভিপিএন থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ইউজারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে। তবে আপনি কী সার্চ করছেন, কোন সাইটে ভিজিট করছেন তা জানতে পারে না।
তবে এই সমস্ত ডেটা ভিপিএন সার্ভারে জমা থাকে। তাই জরুরি পরিস্থিতিতে সেই ডেটা সরকারের সঙ্গে ভাগ করতে পারে ভিপিএন সংস্থাগুলি। পাশাপাশি ভিপিএন সার্ভারে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ হলেও এই ডেটা ফাঁস হতে পারে।
এনএ/