মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪ ।। ১৮ আষাঢ় ১৪৩১ ।। ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

শিরোনাম :
আলমডাঙ্গায় কবি আসাদ বিন হাফিজ স্মরণ-সন্ধ্যা 'দুর্নীতিবাজদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না' প্রজন্মকে সঠিক পথে ধরে রাখতে আকাবির-মনীষী চর্চা অতীব প্রয়োজনীয় : মাওলানা আফেন্দী পদ্মাসেতু রক্ষণাবেক্ষণে হচ্ছে নতুন কোম্পানি সাত মাস পর আল-শিফার পরিচালককে মুক্তি দিল সন্ত্রাসী ইসরায়েল তিস্তা চুক্তি সমাধানের মূল প্রতিবন্ধকতা মমতা: কাদের কাতারে মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমীনের সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত  ‘দেওবন্দ আন্দোলন; ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান’ ইতিবাচক সমালোচনাকে মোবারকবাদ : আনাম সাজিদ গর্ভে থাকা অবস্থায় সন্তানের আকিকা করা যাবে ? সৌদির কারাগারে আটক ৫ হাজার ৭শ বাংলাদেশি

দেশে নিবন্ধিত সিম ৩৩ কোটি, সক্রিয় ১৯ কোটি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

দেশে মোট নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭০টি। এর মধ্যে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার। এ হিসেবে দেশে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের মধ্যে ১৩ কোটি ৯০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭০ নিষ্ক্রিয়। এ হিসেবে মোট সিমের ৪১ দশমিক ৭৮ শতাংশ সিম বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নিবন্ধিত সিমের ৫৫ শতাংশই নিষ্ক্রিয়।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ময়মনসিংহ-৬ আসনের আব্দুল মালেক সরকারের প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ ফোনের মোট নিবন্ধিত সিম ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার। নিষ্ক্রিয় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৭ হাজার ৯২৫টি । বাংলালিংকের মোট নিবন্ধিত সিম ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি। এর মধ্যে সক্রিয় ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার। নিষ্ক্রীয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২টি। রবি আজিয়াটার মোট সিম ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি। সক্রিয় ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার। নিষ্ক্রিয় ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০০টি । টেলিকটের নিবন্ধিত সিম এক কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি। সক্রিয় ৬৫ লাখ ৫০ হাজার। নিষ্ক্রিয় ৭৯ লাখ ১১ হাজার ২৮৩।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে প্রচলিত কলরেটটি ২০১৮ সালে মার্কেট পর্যালোচনা করে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মার্কেট সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা চলমান রয়েছে। আপতত কলরেট পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে কোনো পূর্ব পরিকল্পনা নেই।

ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে লাইসেন্সধারীর ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সংখ্যা দুই হাজার ৬৫০টি।

সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে পলক জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ জন। বর্তমানে ২০২৪ সারেল ১২ জুন সে সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জন। অর্থাৎ  বিগত ৫ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২টি।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের ব্যয়, গ্রাহকের চাহিদা, গ্রাহকের সেবা ব্যবহার ধরন প্রভৃতি বিবেচনা করে বিভিন্ন মেয়াদের বিভিন্ন ভলিউমের প্যাকেজ ডিজাইন করে। মোবাইল ইন্টারনেট ডাটা প্যাকেজের ক্ষেত্রে বিটিআরসি হতে ৩ ধরনের (৭ দিন, ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড) মেয়াদ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা করে বিটিআরসি হতে ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে সব অপারেটরের নির্দিষ্ট কিছু আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) প্যাকেজ ডিজাইনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বর্তমানে সকল অপারেটরের ২৫ জিবি, ৫০ জিবি ও ৭৫ জিবি মেয়াদের ৩টি আনলিমিটেড (মেয়াদবিহীন) প্যাকেজ বাজারে চলমান রয়েছে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ