অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে বলে দাবি করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব ড. মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার মোহে দেড় দশক ধরে শত শত মানুষকে গুম, খুন ও নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছে স্বৈরশাসক ফ্যাসিস্ট হাসিনা। কুণ্ঠাবোধ করেনি দেশের স্বার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে। বন্ধুত্বের নামে ভারতের দাসত্বের জিঞ্জিরে দেশের আঠারো কোটি মানুষকে আবদ্ধ করে রেখেছিল। বিগত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসক দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। দেশের প্রতিটি সেক্টরকে দূর্নীতি, লুটপাট এবং হাজারো অনিয়মে ধ্বংস করে রেখেছেন। বিগত সরকারের নির্দেশে জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, শহীদ করেছে হাজারো ছাত্র জনতাকে। আমরা আশা করে ছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসবের হুকুমদাতাসহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। কিন্তু সরকার এতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সংস্কারের নামে এই সরকারের কালক্ষেপন বরদাশত করবে না দেশের জনগণ।
আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাব তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ কর্তৃক আয়েজিত ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা চর্চা করতে হবে। এক্ষেত্রে যুবকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
যুব জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সুহাইল আহমদের পরিচালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি আল্লামা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী, সহ সভাপতি মুফতি আরিফ বিল্লাহ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা আতাউর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এস এম সামছুল আলম নিক্সন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ইসলামী যুব মজলিস সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি শেখ সাব্বির আহমদ, যুব জাগপার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, এবি যুব পার্টি আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের সভাপতি ফয়সাল আহমদ, রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, বিপ্লবী যুব সংহতির সভাপতি বাবর চৌধুরী, যুব ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদুল্লাহ মধু, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সুবাহান, মাওলানা আব্দুল হালিম বিন হারুন, মাওলানা কামরুজ্জামান কাসেমী, মাওলানা নিজাম উদ্দিন আল আদনান, মাওলানা হাসান আল মামুন, এ্যাডভোকেট রেজাউল হক, মাওলানা আবদুল গাফফার, মাওলানা আহমদ ইসলামাবাদী, মুহিব্বুল্লাহ বোরহান, তাজুল ইসলাম, খালেদ মাহমুদ, আরাফাত আল মিসবাহ সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
যুব জমিয়ত সভাপতি মুফতি হোসাইন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সুহাইল আহমদ ও সি. যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতী নিজাম উদ্দিন আল আদনানের যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা শায়খ আব্দুর রহীম ইসলামাবাদী, সহ সভাপতি মুফতি আরিফ বিল্লাহ, সি. যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, অর্থ সম্পাদক মুফতী আতাউর রহমান খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জমিয়ত ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী আবু সাঈদ।
বন্ধুপ্রতিম সংগঠন থেকে বক্তব্য রাখেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এস এম সামছুল আলম নিক্সন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ইসলামী যুব মজলিস সহ সাধারণ সম্পাদক মুফতি শেখ সাব্বির আহমদ, যুব জাগপার সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, এবি যুব পার্টি আহবায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের সভাপতি ফয়সাল
হাআমা/