শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

‘নাস্তিকদের প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করলে দায়ভার অন্তর্বতী সরকারকে নিতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেছেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার শিক্ষা সিলেবাসের মাধ্যমে জাতিকে নাস্তিক-মুরতাদ বানাবার চক্রান্ত করেছিলো। এই সিলেবাস বা কারিকুলাম বাতিল করে নতুনভাবে নাস্তিক্যবাদীদের প্রাধান্য দিয়ে নতুন শিক্ষা কমিশন জাতি মানবে না। শিক্ষা উপদেষ্টাকে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তা-চেতনার আলোকে। আর এ জন্য প্রয়োজন আলেম-ওলামা ও ইসলামিক স্কলার।

সংস্কার কমিশন গঠন কিসের ভিত্তিতে কাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো? এসব প্রশ্নের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না দিয়ে কোন সংষ্কার কমিশন ঈমানদার জনতা মানবে না। যাদের সীমাহীন ত্যাগ ও জীবনবাজির ফলে স্বৈরাচারের পতন হলো তাদেরকে অবজ্ঞা করে পুনরায় নাস্তিকদের পুনর্বসানের চেষ্টা জনগণ রুখে দিবে। আলেম সমাজ ও ধমপ্রাণ মানুষের যৌক্তিক চাহিদাকে অবমূল্যায়ন করে শিক্ষা কমিশনের মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় ইসলামবিদ্বেষীদের অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান জানাতে হবে কার ঈঙ্গিতে এ কমিশন? ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে নাস্তিক-বেঈমানদের দ্বারা কলুষিত করতে দেওয়া হবে না। ইসলাম, দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রুখে দেওয়া হবে।

আজ শুক্রবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বিশেষ মিডিয়া কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মুহাঃ হাসিব আর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ সৈয়দ মোঃ ওমর ফারুক ও সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সারাদেশের জেলা ও মহানগর শাখার প্রচার ও সহ প্রচার সম্পাদকদের নিয়ে দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মিডিয়া উপকমিটির সহ-সমন্বয়ক মাওলানা কেএম শরিয়তুল্লাহ।

কর্মশালায় সারাদেশের জেলা ও মহানগরের প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদকদেরকে প্রচারণা কৌশল বৃদ্ধিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন - ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শাহ্ জামাল উদ্দিন, অফিস সম্পাদক ইমাম বোখারীসহ আন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, মিডিয়ায় আমাদের সকলের উপস্থিতি এবং গোছালো কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত জরুরী। সকলকে তিনি মিডিয়ায় পদচারণা বাড়ানোর জোর তাগিদ দেন। তিনি আরো বলেন, ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পজিটিভ প্রচারণা বাড়াতে হবে। সাংগঠনিক প্রচারণায় সক্রিয় থাকতে হবে।

কর্মশালা অনুষ্ঠানে মাওলানা খলিলুর রহমান বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার এই অভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া হবে না। এই আন্দোলনে শ্রমিকদের আত্মত্যাগ উল্যেখ করে তারা বলেন. শ্রমিকদের এই আত্মত্যাগে অর্জিত সফলতায় শ্রমিকদের সুবিধা ও অধিকারের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেএম শরিয়তুল্লাহ সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করার আহবান জানিয়ে বলেন, নিজ নিজ জেলায় সকলেই স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু ফেসবুকেই নয়, ইউটিউব, ইনস্ট্রাগ্রামসহ সকল সোশ্যাল মাধ্যমে সাংগঠনিক প্রচারণা বাড়াতে হবে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ