আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারাদেশে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি মনে করে, প্রহসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে পতিত সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব হবে না।
পার্বত্য জেলাগুলোতে সংঘাতের ঘটনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্তের অংশ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এই ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ রূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই ঘটনাগুলো হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।’
পার্বত্য জেলাগুলোতে শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, পার্বত্য জেলার সংশ্লিষ্ট নেতা ও অংশীজনদের একটি জাতীয় কনভেনশন আহ্বান জরুরি বলে মনে করে বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ সংক্রান্ত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতেনের পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। এরপর একে একে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন ও ৩২৩টি পৌরসভায় মেয়রদের অপসারণ করা হয়। সেই সঙ্গে অপসারণ করা হয় ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং পার্বত্য ৩ জেলা ছাড়া বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদেরও। উপজেলায় চেয়ারম্যানদের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এবং ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করেছে সরকার। এখন পর্যন্ত টিকে আছে কেবল ইউনিয়ন পরিষদ। তবে যেসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরা অনুপস্থিত আছেন, সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এনএ/