বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, কিছু ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে কুরআন শিক্ষার আয়োজন করে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কুরআনের শিক্ষা বন্ধের পয়তারা করছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ঢাবিতে নাচ গানসহ অনৈতিক অনেক কার্যকলাপ চলতে পারলে, কুরআনের শিক্ষা কেন চলতে পারবে না। তা জাতি জানতে চায়।
কুরআন শিক্ষা অনুষ্ঠানে যারা হামলা করেছে তাদের অদ্যাবধি গ্রেফতার করা হয়নি, তাদের খুটির জোর কোথায়? তাদের দ্রুত গ্রেফতর করে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে এমন করার সাহস না পায়। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। -বলেন তিনি।
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কুরআনের শিক্ষা অনুষ্ঠান করার জন্য সাধারণ ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এদেশের মানুষ কুরআনের সাথে আছে। যারা কুরআনের বিরোধীতা করবে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ত ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারতের পণ্য বর্জন করা এখন সময়ের দাবী। ভারত বাংলাদেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে না। ভারত শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের কল্যাণে কাজ করে। বর্তমান সরকার একচেটিয়া ভারতের দালালি করে যাচ্ছে। তাই যারা ভারতের দালালি করে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। এ সরকার ভারতের উপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছে। এ ক্ষমতা বেশি দিন টিকবে না।
তিনি বলেন, বাজারে গেলে মানুষের মাথায় হাত। জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারে না, তাদের বিরুদ্দে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ সরকার যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো তাহলে সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারতো। এ ব্যর্থতার দায়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ।
তিনি বলেন, বহু মামলার আসামী মুক্তি পেলেও আজ ৩ বছর যাবত সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবৈধ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে করাগারে রেখেছে। মাওলানা মামুনুল হককে ঈদের আগে মুক্তি দিতে হবে। না হয় দেশের জনগণ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে এবং এ আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রুপান্তরিত হবে। তখন ক্ষমতা ছেড়ে পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নোয়খালী জেরা উত্তর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মহাফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নোয়াখালীর চৌমুহনী শহরের একটি রেস্টুরেন্টে শাখা সভাপতি হফেজ মাওলানা সালাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম এবং সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফয়েজ উল্লাহ এর যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেগমগঞ্জের ৬ নং ইউুনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত। বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা ইয়াকুব কাসেমী, চৌমুহনী ইসলামিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি বেলাল হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নোয়াখালী জেরা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফুল্লাহ, জেলা উত্তর সহ-সভাপতি মাওলানা খালেদ মাহমুদ, মাওলানা উমর ফারুক প্রমুখ।
হাআমা/