ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব ও ইসলামধর্ম নিয়ে বিষবাষ্প ছড়িয়ে ঘোলযোগ বাধানোর চক্রান্ত শুরু হয়েছে। হিজাবধারী শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলতে বাধ্য করা এবং ভাইভাতে হিজাব না খুললে ভাইভা না নেওয়া, ঢাবিতে কোরআন শিক্ষা ক্লাস নিয়ে ষড়যন্ত্র এবং ইফতার মাহফিলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা, রোজাদার শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা ও রক্তাক্তকরণ এ সবই ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র।
আজ সোমবার বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ৭ম দিনের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, চরমোনাই ইউপি চেয়ারম্যান মুফতী জিয়াউল করীম ছাড়াও চরমোনাই দরবারের খলিফাগণ বয়ান করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামের বিধি বিধান নিয়ে দেশময় সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচার চলছে। যা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। পীর সাহেব বলেন, ইসলাম একটি কালজয়ী আদর্শ। ইসলাম নিয়ে বিগতদিনেও গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। কিন্তু তাদের মূল টার্গেট ইসলাম কেন? ইসলামধর্ম, পর্দা, হিজাব, নামাজ নিয়ে ঠাট্রা-বিদ্রুপ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, কারা এভাবে সম্প্রীতি বিনষ্টে মাঠে নেমেছে, এগুলোকে পরিস্কার হওয়া প্রয়োজন। মাহে রমজানে কারা দেশকে উত্তপ্ত করতে চাচ্ছে। সরকারকে কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। ইসলামের বিধান হিজাব নিয়ে, ইসলাম নিয়ে অবমাননা করলে তাদেরও বিচার হবে না কেন?।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, রমজান মাস ইবাদত বন্দেগী করে নিজেকে গড়ে তোলার মাস। কাজেই সকল প্রকার হিংসা বিদ্বেষ ছেড়ে নিজেকে গড়ে তুলতে না পারলে মাহে রমজান আমাদের জীবনে কোন উপকার আসবে না। মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব আর গৌরব ও মর্যদার অবিস্মরণীয় স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে মাহে রমজান। উন্নত চরিত্র অর্জনের প¶ে অন্তরায় পাশবিক বাসনার প্রাবল্যকে পরাভূত করত: পাশবিক শক্তিকে আয়ত্ত্বাধীন করা হচ্ছে সিয়ামের তাৎপর্য। তিনি মাহে রমজানের সম্মানে নিত্যপণ্যেল দাম সাধারণ মানুষের নাগালে রাখা এবং দেশময় ভয়াবহ গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করুন, মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে কাজ করার আহ্বান জানান।
হাআমা/