ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে অবশেষে পতন হয়েছে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের। মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিনে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার দাবি অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকার ব্যবস্থা নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যেন ধর্ম-বিদ্বেষী বা ভারতপন্থী কেউ কোনোভাবে স্থান না পায়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ থাকলেও চিহ্নিত ইসলাম-বিদ্বেষীরা ছিল ক্ষমতাসীনদের পদলেহী। অতএব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যেন ধর্ম-বিদ্বেষী বা ভারতপন্থী কেউ কোনোভাবে স্থান না পায়, বরং দেশের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষরাই যেন কেবল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হন। এ ব্যপারে সবাই সজাগ থাকি এবং আওয়াজ তুলি।
তিনি বলেন, ৭১ এ আমরা স্বাধীনতা পেলেও স্বাধীনতা ধরে রাখতে পারিনি। এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
তিনি আরও বলেন, ৪৭-এ ভারত ভাগ হয় ধর্মীয় চেতনার ভিত্তিতে। কিন্তু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের সাথে বেঈমানী করেছেন। ৭১-এ দেশ স্বাধীন করেছেন ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। কিন্তু ধর্মকে আজো প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করায় নষ্ট-ভ্রষ্টরা। এ অবস্থার অবসান হতে হবে। আলেম-উলামা ও ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ এ দেশের অন্যতম একটি বৈষম্য। এ বৈষম্যের অবসান হতে হবে।
এনএ/