দীর্ঘ এক মাস সিয়ামসাধনার শেষে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বিভিন্ন স্থানে উৎসবমুখর ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মুসলমানেরা মিলিত হয়েছেন ঈদগাহে। সোমবার সকালে পূর্ব-নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সেসব ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতগুলোতে হাজার হাজার মুসল্লির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
সকাল সাড়ে ৮ টায় ভাঙ্গা ঈদগাহ জামে মসজিদে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বাবুল ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সুমন পারভেজ ঈদের নামাজ আদায় করেন।
এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভাঙ্গায় প্রধান বৃহত্তর ঈদের জামাতের মধ্যে ভাঙ্গা মারকাজ ঈদগাহ মসজিদ, ভাঙ্গা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ভাঙ্গা সরকারি কে. এম. কলেজ মাঠ, ভাঙ্গা ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়াম, ভাঙ্গা দাড়িয়ারমাঠ মাদ্রাসা মাঠ, পূর্ব হাসামদিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা, ভাঙ্গা কোর্টপাড় জামে মসজিদ, নুরপুর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ, নওপাড়া ঈদগাহ মাদ্রাসা মাঠ, আতাদী ঈদগাহ হামিউসুন্নাহ মাদ্রাসা মাঠ, চৌধুরীকান্দা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পল্লীবেড়া ঈদগাহ মাঠ, কাউলিবেড়া ঈদগাহ মাঠ, গঙ্গাধরদী দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা মাঠ, ঘারুয়া বাজার জামে মসজিদ, মহেশ্বরদী ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদের বৃহত্তর নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বালিয়াচরা মাদরাসা ঈদগাঁ মাঠে। এখানে পূর্ব-নির্ধারিত সময় অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাতে আলগী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা, অবসরপ্রাপ্ত এএসপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমারত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ (আরআই) গিয়াসউদ্দিন, অব.প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য (আরআই) মো. সাহাবুদ্দিন, সাংবাদিক এটিএম ফরহাদ নান্নু, পুলিশ ইন্সপেক্টর (টি.আই) মোহাম্মদ আবুল বাসার, সেবা ডেন্টাল কেয়ারের মহা- পরিচালক মো. এসকেন্দার মোল্লা, আবুল কালাম মাতুব্বর, আইয়ুব আলী, মিরাজ মুন্সি প্রমুখ গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ আবুল খায়ের বাবলু, অত্র মাদরাসার প্রধান মাষ্টার আ. বাকী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ভাঙ্গা শাখার নেতা হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন, সেবা ডেন্টাল এন্ড হোমিও হল এর বালিয়াচরা বাজার শাখার পরিচালক ডা. হাফেজ মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফ্যমিলি প্লানিং ইন্সপেক্টর (এফপিআই) এনায়েত হোসেন, কামাল মাতুব্বর, আ. রাজ্জাক মুন্সি, ইউপি সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার মুসল্লি।
নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ সহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি, মৃত ব্যক্তিদের রুহের কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর উপস্থিত সকলে পরস্পরে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নামাজের পূর্বে হাফেজ মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যের এক পর্যায় বলেন, আমরা যাদের অসিলায় (পিতা- মাতা) এ সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি তাদের জন্য দোয়া করা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই প্রত্যেক পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনে আরো সচেষ্ট হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। সেই সাথে ফিলিস্তিন সহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানদের জন্যও দোয়া করার জন্য আহবান জানান তিনি।
এমএম/